দ্বিতীয় ধাপে ৬০ পৌরসভায় নির্বাচন
ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক সহিংসতাও কম নয়

শনিবার সকালে রাজশাহীর আড়ানী এফ এন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটারের দীর্ঘ সারি- শরিফুল ইসলাম তোতা
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ | ১২:০০ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ | ১৬:০০
স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচনে যে ভোটের খরা দেখা গিয়েছিল, তেমন নজির চোখে পড়েনি গতকাল শনিবার দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে। এদিন একযোগে দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতাও কম হয়নি। সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভায় সন্ধ্যায় ভোটের ফল ঘোষণার পরই প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় নিহত হয়েছেন বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী তারিকুল ইসলাম (ডালিম প্রতীক)। ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে ফরিদপুরে বোয়ালমারীর কয়েকটি কেন্দ্রে। গাইবান্ধায় র্যাব, পুলিশ ও মেজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করেছে একপক্ষের সমর্থকরা। এদিকে, কারচুপির অভিযোগ এনে অনেক স্থানে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন মেয়র প্রার্থী।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন বিজয়ী এক কাউন্সিলর। তার নাম তারিকুল ইসলাম। গতকাল রাত ৮টার দিকে ফল ঘোষণার পর জেলা শহরের নতুন ভাঙ্গাবাড়ী মহল্লায় প্রতিপক্ষ ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের সমর্থকদের হামলায় তিনি নিহত হন বলে জানা গেছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে হেরে যান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন বুদ্দিন (উটপাখি প্রতীক)। এ নিয়ে বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী তারিকুল ইসলাম ও তার সমর্থকদের সঙ্গে বুদ্দিন গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তারিকুল। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নতুন ভাঙ্গাবাড়ী ও ব্যাপারী পাড়ায় খণ্ড খণ্ড সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার মধ্যেরগাতী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পরে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রে এক নম্বর বুথে অতর্কিতে একদল লোক ঢুকে নৌকায় সিল মারার প্রস্তাব দেন। ওই সময় এক এজেন্ট এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে দেয়ালে মাথা ঠুকে আঘাত করা হয়। এরপর ওই কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর শুরু হয়। হামলাকারীরা সাতটি ব্যালট বাক্সের মধ্যে পাঁচটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়া ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ পাঁচটি শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হন। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপরই ছোলনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী শুকুর শেখের ছেলে শাহিন নৌকার এজেন্টকে থাপ্পড় মারলে নতুন করে উত্তেজনা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় দায়িত্ব পালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম ডান হাতে এক আঙুলে চোট পান। ধানের শীষের সমর্থকরা দুটি ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করে এবং ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। এর আগে সরকারি কলেজ কেন্দ্রে বোতল মার্কার সমর্থক সাংবাদিক জসিমের লাঠির আঘাতে উটপাখি মার্কার সমর্থক সাপ্তাহিক আগামীর প্রত্যাশার সম্পাদক লিটু সিকদারের মাথা ফেটে যায়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জসিমকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
গাইবান্ধা পৌরসভার পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল না দিয়ে ব্যালট পেপার নির্বাচন অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এমন খবরে উত্তেজিত জনতা নির্বাচনী সরঞ্জাম আটকে দেয় ও রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা। র্যাবের দুটি, পুলিশের একটি ও ম্যাজিস্ট্রেটের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্তত ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় একজন পুলিশ সদস্য, একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও দু'জন র্যাব সদস্য এবং ৫ জন এলাকাবাসী আহত হন। রাত সাড়ে ৮টার পর নির্বাচনে দায়িত্বরত অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করা হয়। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনওয়ারুল হাসান সাহিবের সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের।
অপরদিকে ভোট গ্রহণ শেষে সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ভোটকেন্দ্রে এক সংঘর্ষের ঘটনায় লিজু আহম্মদ (২৫) ও জজ মিয়া (২৮) নামে দুই যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। তারা পৌর এলাকার আদর্শপাড়ার বাসিন্দা। আহতরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকার সমর্থক। জেলা যুবলীগের একটি সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ওই ভোটকেন্দ্রে এক তর্কবিতর্কের ঘটনার জের ধরে ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রতিপক্ষের লোকজন আকস্মিকভাবে ওই দুই যুবলীগ কর্মীর ওপর হামলা চালায়। আহতরা বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়নকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভোট শুরুর পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে গেলে রফিকুল ইসলাম নয়নকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ইছাহক আলী মালিথা জানান, নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি প্রার্থী নয়ন হামলার নাটক সাজিয়ে নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার কেবি মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নাতির কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছেন ১২০ বছর বয়সী করিমুন নেছা। তিনি বলেন, 'কতবার গিয়া কইছে তারা (প্রার্থীরা)। আর ভোট দিতাম পরমু কিনা। বাঁচলে না আরেকবার ভোটও আইতাম। নাতিরে কইলাম আমারে লইয়া যারে ভাই। হেরে (নাতিরে) ধইরা ধইরা ভোট দিতাম আইছি। হেঔ আমার লাঠি।' করিমুন নেছার নাতি বাপ্পি আহমদ বলেন, 'দাদি ভোট দেবার জন্য কান্নাকাটি শুরু করেছিলেন। এজন্য ভোটে নিয়ে এলাম। ভোট দিতে পারায় তিনি খুশি, আমিও খুশি।'
সকাল ১০টায় উত্তর আরপিননগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হুইলচেয়ারে করে ভোট দিতে আসেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত ৬৫ বছর বয়সী আমির হোসেন। তিনি বলেন, 'আত্মীয় ছেলেটা ভোটে (কাউন্সিলর) দাঁড়িয়েছে। তারে ভোটটা দিবার লাগি আইছি। যদি আমার ভোটটারলায় ফেইল করে, তে আমার কষ্ট অইবো, ইতার লাগি আইছি।' সুনামগঞ্জের সবার মুখেই এমন স্বস্তির কথা জানা গেছে।
'এত স্বচ্ছ নির্বাচনের দেখা পাইনি জীবনেও। বহুদিন পর নিজের ভোট নিজেই দিলাম। ঝামেলাও কম মনে হলো। ভোট দিতে গিয়ে কম্পিউটারে নিজের ছবি দেখে খুব ভালো লেগেছে। ভোটের প্রতি আস্থা আবার ফিরে এসেছে।' ইভিএমে ভোট দিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া বাজার কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ষাটোর্ধ্ব অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আশরাফ আলী বলছিলেন কথাগুলো। এই শিক্ষকের মতো অনেকেই বলেছেন ভোট দিয়ে পরম স্বস্তি পেয়েছেন, শঙ্কামুক্ত মনে থেকেছেন। নৌকার প্রার্থীর কাছে পরাজয়ের পরও বিএনপি বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরাও জানিয়েছেন, এ নির্বাচন নজিরবিহীন নিরপেক্ষ হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
রাজশাহীর বাঘা পৌরসভায় দু'দিন আগের রাতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, গোলাগুলিসহ ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শঙ্কা ছিল ভোটের দিন বড় ধরনের সহিংসতার। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ হয়েছে।
কুমিল্লার চান্দিনায় সকাল থেকে দলে দলে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটাররা আসতে শুরু করেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রেই ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি। তবে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে অনেককে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। তিন নম্বর ওয়ার্ডে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ ছাড়া লাইনে গিয়ে ভোট চেয়ে ভোটারদের বিরক্ত করার অভিযোগে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে দিনভর মাঠে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগের দিন রাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ২টার দিকে গয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরীর প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপি মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন জুনেদ সামান্য আহত হন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রুমেলকে পুলিশ আটক করার পর ছেড়ে দেয়।
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা বাজার কেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈয়বুর রহমানের সমর্থক বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিন ও তার ছোট ভাই রাজুকে কুপিয়ে জখম করে নৌকার সমর্থকরা। এ ছাড়া দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ঝাউদিয়া কেন্দ্রে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের দুটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ সুমন ও জেলা ছাত্রদল নেতা হিমেলসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। পরে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটকক্ষে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার দিকে ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কামাল হোসেন রতন ও আহদ্মাদ মিয়ার মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে দু'পক্ষের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শরীয়তপুর পৌরসভায় ইভিএমে ভোট দিতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন ভোটাররা। দীর্ঘ সময় ধরে ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। বৃদ্ধ ও অসুস্থ ভোটারদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেক কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়েছে।