আলজাজিরার প্রতিবেদন: সেনা সদরের প্রতিবাদ

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ১০:২৩
আলজাজিরা নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন' শীর্ষক প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সেনা সদর দপ্তর। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো প্রতিবাদপত্রে মঙ্গলবার এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, স্বার্থান্বেষী মহল অশুভ অভিপ্রায়ে এটি প্রচার করেছে। প্রকৃতপক্ষে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সাম্প্রতিক সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। প্রতিবেদনের মন্তব্যকারীরা হলো- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন দোষী ডেভিড বার্গম্যান, মাদকাসক্তির অভিযোগে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কার হওয়া প্রাক্তন ক্যাডেট জুলকারনাইন সায়ের খান (প্রতিবেদনে সামি হিসেবে আলোচিত) এবং অখ্যাত নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল। তাদের অতীত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে স্বার্থান্বেষী এই ব্যক্তিরা অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে একত্র হয়েছে।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, এটি স্পষ্ট নয় যে কীভাবে আলজাজিরার মতো একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল একদল অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করছে, যারা আগে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ের ভিডিও ক্লিপ একসঙ্গে করে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন অসংগত বিষয় একত্র করে নেপথ্য কণ্ঠ দিয়ে সম্পাদনা করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই প্রতিবেদনে ইসরায়েল থেকে মোবাইল ইন্টারসেপটর ডিভাইস সংগ্রহের বিষয়ে প্রদত্ত ভ্রান্ত তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। প্রকৃত সত্য হলো- জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েনের উদ্দেশে সেনাবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্টের জন্য হাঙ্গেরি থেকে এসব সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছিল। সরঞ্জামগুলো ইসরায়েলের তৈরি নয়। ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের সুযোগ নেই, কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, সেনাবাহিনী মনে করে এই প্রতিবেদন দেশের বিকাশ ও অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে চলমান সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমান চেইন অব কমান্ডের অধীনে সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী এবং সংবিধান ও সরকারের প্রতি অনুগত। সেনাবাহিনী সব সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল ও থাকবে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রিয় মাতৃভূমি গঠনের প্রয়াসে অবদান রাখবে।
- বিষয় :
- আইএসপিআর
- সেনা সদর দপ্তর