ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গা স্রোত ঠেকাতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: মোমেন

রোহিঙ্গা স্রোত ঠেকাতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: মোমেন

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:৪১ | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ১০:০০

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নতুন করে রোহিঙ্গাদের স্রোত আসার আশঙ্কায় বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত বরাবর দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করেছে। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চি-কে গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে নিয়ে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার নিজের কার্যালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা (সম্ভাব্য রোহিঙ্গাদের স্রোত ঠেকাতে) আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করেছি। তবে মিয়ানমারের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আবার রোহিঙ্গাদের স্রোত আসবে না বলে মনে করছে ঢাকা। খবর বাসসের

তিনি বলেন, তবও আমাদের কিছু বন্ধু-রাষ্ট্র আশঙ্কা করছে, (সেনাবাহিনী মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করায়) সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গারা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারে।

মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার চলমান প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির লক্ষ্যে ঢাকা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে চায়।

গত ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের সচিব পর্যায়ের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার ব্যাপারে আরও আলোচনার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য পূর্ব-নির্ধারিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকটি এখনও নিশ্চিত হয়নি। কারণ মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর ঢাকা দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

রাখাইন থেকে জোর করে বাস্তুচ্যূত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এদের অধিকাংশই মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হওয়ার পর ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এখানে এসেছে। জাতিসংঘ এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

গত তিন বছরে মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা না থাকায় দুইবার তাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন

×