ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কোস্টাগার্ডকে স্বতন্ত্র বাহিনী করার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কোস্টাগার্ডকে স্বতন্ত্র বাহিনী করার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাহিনীর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৬:৩৮

নিজস্ব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে কোস্টাগার্ডকে একটি স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ বাহিনী দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সমুদ্র বাণিজ্য ও উপকূলীয় জনগণের নিরাপত্তা বিধানে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোস্টগার্ডকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার বদ্ধপরিকর। 

রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাহিনীর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কোস্টগার্ডের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে বিরোধী দলে থাকাকালীন কোস্টগার্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি সংসদে এ সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করেন, যার ফলে কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়। মাত্র একটি জাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করা কোস্টগার্ড এখন বিশাল বহরে পরিণত হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বাহিনীতে খুব শিগগরিই অত্যাধুনিক অফশোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি), হোভারক্রাফ্‌ট ও অন্যান্য উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন জলযান যুক্ত হবে। উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত কোস্টগার্ডের বিভিন্ন বেইজ, স্টেশান ও আউটপোস্টে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এ বাহিনীর পরিপূর্ণ বিকাশ সুনিশ্চিত করা হবে।

পটুয়াখালীতে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ বাহিনীটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোস্টগার্ডে চারটি আর্মস ভ্যাসেল সংযুক্ত করা হয়েছে। আরো চারটি ভ্যাসেল যুক্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বাহিনীটিতে এয়ার উইং সংযোজন করা হবে। সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে আধুনিকায়ন করা হবে। কোস্টগার্ড সত্যিকার অর্থেই একদিন 'গার্ডিয়ান অব সি' বা সমুদ্রের অভিভাবক হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোস্টগার্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, নাবিক, অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী কার্যক্রমের জন্য পদক পরিয়ে দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মাদক চোরাচালান রোধে আমরা মোটেও ব্যর্থ না। স্থলসীমান্তে বিজিবি কাজ করছে, কিন্তু এমন কিছু স্থলসীমা আছে যেখানে বিজিবির একটি বিওপি থেকে আরেক বিওপিতে যেতে দু'দিন সময় লেগে যায়। আমরা সেসব এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ করছি। এছাড়া বিজিবিতে হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়েছে। কোস্টগার্ডও উপকূলীয় এলাকায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করছে। সবার প্রচেষ্টায় মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন তার বক্তব্যে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের নানা কার্যক্রম ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগপোযোগী দিকনির্দেশনায় এ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন

×