জাহানারা ইমাম স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্বালন, ছবি: সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২১ | ১০:৩৫
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে সংগঠনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী রাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিলন ঢালীসহ আরও অনেক নেতা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ভাস্কর রাশা বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধীদের আতঙ্ক। ৭৫ পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শহীদ জননীর নেতৃত্বে আমরা রাজাকারদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। তার স্বামী এবং সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। শহীদ জননীর স্বপ্ন ও আদর্শ এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী হেফাজত-জামায়াত অপশক্তিকে নির্মূল না করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।
আল মামুন জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী প্রতিবছর জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের উচিত শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। রাষ্ট্র শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে উপযুক্ত সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছিল। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিরুদ্ধে শহীদ জননী গণ আদালত গঠন করে প্রতীকী বিচার শুরু করেছিলেন। তার আন্দোলনের কারণেই আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সক্ষম হয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারে শহীদ জননীর অসামান্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আমাদের অনুপ্রেরণা। আজ তার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে গেছেন। তার আন্দোলন ও সংগ্রামের কারণে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে সক্ষম হয়েছি।