৮ বছরেও দীপ হত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২১ | ০৯:২৭ | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ | ১০:২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দীপ হত্যার দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আরিফ রায়হান দীপ হত্যায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বিকেলে শহীদ আরিফ রায়হান দীপের স্মৃতির স্মরণে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় এই দাবি জানান বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ইউকসু) সাবেক জিএস প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। এ সময় বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শহীদ আরিফ রায়হান দীপের স্বজনরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দীপকে হত্যা করেছে। হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি, জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আমরা বুয়েটের সকল হত্যার নিন্দা জানাই। দীপ হত্যার প্রধান আসামি মেজবাহ নিজেকে মানসিক বিকারগ্রস্ত দেখিয়ে জামিন নিয়েছে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি সে বিয়ে করেছে। আমরা চাই মামলার প্রধান আসামির জামিন বাতিল করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দীপের হত্যাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক।
সভায় বক্তারা বলেন, আরিফ রায়হান দীপ হত্যার আট বছর পার হয়ে গেলেও এখনও বিচার হয়নি। উল্টো প্রধান আসামি জামিনে বের হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে, যা খুবই হতাশাজনক। আমরা দেখেছি অনেক মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করা হচ্ছে। কিন্তু আরিফ রায়হান দীপের হত্যার দ্রুত বিচার কেন হচ্ছে না? এই বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার মাধ্যমে দীপ হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। এসময় বক্তারা দীপ হত্যার দ্রুত বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে আরিফ রায়হান দীপকে বর্বরভাবে মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী। পরে একই বছরের ২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।