ভারতে সম্মানিত ৪ বাংলাদেশি

পুরস্কার গ্রহণ করছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির- বাসস
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২১ | ১১:১০ | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২১ | ১১:১০
ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন চার বাংলাদেশি নাগরিক।এর মধ্যে একজন 'পদ্মভূষণ' এবং তিনজন ‘পদ্মশ্রী’ অর্জন করেন।
মঙ্গলবার ও বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাদের এই পুরস্কার দেন।
জনকল্যাণে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে (মরণোত্তর) পদ্মভূষণ দেওয়া হয়েছে। প্রয়াত রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা এবং স্থল যোগাযোগ শুরু করার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরকে (অব.) জনকল্যাণে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (অব.) বীর প্রতীক, স্বাধীনতা পদক পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ বিষয়ক একজন স্বাধীন গবেষক ও লেখক।
তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে যোগ দিতে বাহিনী ত্যাগ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের 'ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ' পুরস্কার প্রকল্পের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, যা মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দেশের নাগরিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছিল।
প্রত্নতত্ত্বের জন্য অধ্যাপক এনামুল হককে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক। তিনি একজন বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং অত্যন্ত সম্মানিত সাংস্কৃতিক কর্মী যিনি প্রত্নতত্ত্বের ক্ষেত্রে এবং জাদুঘরের উন্নয়নে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
শিল্পকলার জন্য শ্রীমতী সনজিদা খাতুনকে পদ্মশ্রী পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। ষাটের দশকের শুরুতে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি নিবেদিত ছায়ানটেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার তত্ত্বাবধানে ছায়ানট একটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং নৃত্যকলার প্রসারে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে।