ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গা সংকট: নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সংকট: নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২১ | ০৯:৩৫ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২১ | ০৯:৩৫

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ফ্রান্স জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ায় এই ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ প্যারিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার প্যারিসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ফ্রান্সের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনা চলাকালে এ আহ্বান জানানো হয়। এ ব্যাপারে ফ্রান্স আশ্বাস দিয়ে বলেছে, তারা রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোন ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ কাস্পেসহ উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার আলোচনা চলাকালে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের নেতাদের অবহিত করা হয় বাংলাদেশ এই সংকটের সমাধানে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে। এমনকি আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিটি) গিয়েছি।

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থান ইস্যুর ব্যাপারে তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা করেনি। মোমেন বলেন, 'আমরা ফ্রান্সের নেতাদের বলেছি, পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। তারা মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি বন্ধ করে দিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের বলেছি, ১৯৭০ ও ১৯৯০-এর দশকে মিয়ানমারে সামরিক সরকার ছিল। কিন্তু ওই সময় তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করেছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ সালে প্রায় দুই লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে এবং তাদের মধ্যে দুই লাখ ৩৬ হাজারকে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয় এবং ১৯৭০-এর দশকেও একই কাজ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ফ্রান্সকে বলেছি, গত চার বছর ধরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে কোনো সংঘাত ঘটেনি। এখানে কোনো সহিংসতা হয়নি। কাজেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর এখন উপযুক্ত সময়। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত আছে। তিনি বলেন, মিয়ানমার বলেছে, তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। মর্যাদা সহকারে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত আসার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারেও তারা রাজি রয়েছে। তবে তারা কোনো কিছু বাস্তবায়ন করছে না।

আরও পড়ুন

×