ডিজেলের দাম বাড়ায় সংসদে ক্ষোভ

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ০৭:০০ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১ | ০৭:২০
ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংসদের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই সংসদ সদস্য। রোববার সংসদের বৈঠকে পয়েন্ট অব অর্ডারে এই দুই এমপি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করেন এবং সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলা করে মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা হলো। বলা নেই কওয়া নেই কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে মূল্য ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে এক সঙ্গে এত পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি।’
শুক্র ও শনিবারে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ানো হলো বৃহস্পতিবার। তারপর পরিবহনগুলো ধর্মঘটে চলে গেল। এতে করে পরীক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ার পর বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ, নৌযান ভাড়া ৩৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যেটা তেলের মূল্য বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি। জানিনা এখানে কেন সমন্বয় নেই।’
সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ৭৫ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। বর্তমান সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার। জনগণের কথা চিন্তা করলে কোভিডের অবস্থায় হঠাৎ করে এই মূল্য বৃদ্ধি না করে কী বিকল্প ব্যবস্থা করা যেত না? এমনিতেই বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে তেলের কারণে অন্যান্য পণ্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহরওয়াস্তে আপনি, দেশের মানুষ তেলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য হয় তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন না হলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মানুষকে বিপজ্জনক অবস্থা থেকে মুক্তি দেন।’ এসময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দামে কমতে শুরু করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জাপার আরেক সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী বলেন, ‘ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে চরমভাবে আঘাত করেছে। দ্রব্যমূল্যও বেড়ে গেছে। প্রতিবেশী দেশ স্পর্শকাতর এই জ্বালানির মূল না বাড়িয়ে ঠিক রেখেছে। বাংলাদেশেও সরকার ইচ্ছা করলে এটা করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যায় তখন কিন্তু এখানে কমানো হয় না। অজুহাত দিয়ে বাড়ানো হলে সেটা কত শতাংশ হতে পারে। বৃদ্ধির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ বিষয় প্রধানমন্ত্রীসহ ক্যাবিনেটের নতুন করে চিন্তা করা উচিত। কারণ জনস্বার্থ অগ্রাধিকার। জনস্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করুন। হয় মূল্য কমান না হয় ভর্তুকির ব্যবস্থা করুন।’