সেদিন আমিনবাজারে যা ঘটেছিল

সেদিনের ঘটনায় নিহত ছয় ছাত্র। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২১ | ০২:০৯ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১ | ০২:৩১
ঢাকার অদূরে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে সাত বন্ধু ঘুরতে গিয়েছিলেন। রাত সোয়া ১টার দিকে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত সাত ছাত্রকে ডাকাত বলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এতে ছয় ছাত্র মারা যান। একজন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।
সেদিনের ঘটনায় নিহত ছয় জন হলেন- কামরুজ্জামান, টিপু সুলতান, শামস রহিম, তৌহিদুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল ও সিতাব জাবির। আর পিটুনিতে গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান আল-আমিন। তিনি ওই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০১৬ সালে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
তার দেওয়া ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে ছয় বন্ধুসহ তিনি দারুস সালাম এলাকার একটি মসজিদে নামাজ পড়েন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হন। ওই রাতের ১২টার দিকে বিরিয়ানি খেতে তারা গাবতলীর দিকে যান। তবে বিরিয়ানি না পাওয়ায় হাঁটতে থাকেন। হাঁটতে হাঁটতে তারা আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে পৌঁছান।
আল-আমিন জানান, রাত সোয়া ১টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বড়দেশী এলাকার একটি কুঁড়েঘরে আশ্রয় নেন তারা। ওই সময় একদল লোক আচমকা ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা চোখে টর্চ লাইটের আলো ফেলে জানতে চায়, তারা কোথায় থেকে এসেছেন। ছাত্র পরিচয় দিয়ে দারুস সালাম এলাকা থেকে ঘুরতে বের হওয়ার কথা বললেও হামলাকারীরা বলে ‘তোরা ডাকাত’। এরপর সবাই তাদের মারতে শুরু করে।
আদালতকে দেওয়া সাক্ষ্যে তিনি আরও জানান, তিনিসহ তার বন্ধুরা হামলাকারীদের কাছে বাঁচার জন্য আকুতি জানান। কিন্তু তাদের আকুতিতে হামলাকারীদের মন গলেনি। তারা মারধর চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১৩ জনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। আর যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বার, রশিদ, ঈসমাইল, লিমন, মীর হোসেন, মজিবর রহমার ওরফে বরিশাইল্লা মজিবর, আনোয়ার হোসেন, রজব আলী, আলম, মো. রানা, আব্দুল হামিদ ও আসলাম মিয়া।
- বিষয় :
- আমিনবাজার
- মামলার রায়
- ছয় ছাত্র
- পিটিয়ে হত্যা