ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সাউথ বাংলা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

সাউথ বাংলা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

এস এম আমজাদ হোসেন। ফাইল ছবি।

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ | ০৮:৩০ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২ | ০৩:৩৮

ভুয়া কোম্পানি খুলে ঋণের নামে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসিবি) ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন ও সাবেক এক পরিচালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা দু’টি দায়ের করেন।

একটি মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ও সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেন যোগসাজশে জাল কাগজে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে পিপলস লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে দুদকে।

এজাহারে আরও বলা হয়, ব্যাংকের ঢাকাস্থ বিজয়নগর (সাবেক মতিঝিল শাখা) শাখার ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে কোনোরূপ যাচাই না করে রাফি মাহি কর্পোরেশন নামীয় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কর্তৃক ঋণ অনুমোদনের আগেই আমজাদ হোসেন ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে ওই টাকা স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে তা পাচার করা হয়। এই অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলায় আসামি করা হয় আমজাদ হোসেন ও মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আট জনকে।

অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচাই-বাছাই না করে ভুয়া এসওডি ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের নির্দেশে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নিয়েই সাবেক চেয়ারম্যান নিজেই ছয় কোটি ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে ওই অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা। এই মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

দু'টি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আরও পড়ুন

×