আঁচলের সংবাদ সম্মেলন
আত্মহত্যা অপরাধ নয়, স্বাস্থ্য সমস্যা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ০৯:২৮ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ০৯:২৮
সারাদেশে ২০২১ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। কারোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে হতাশা বৃদ্ধিই এই আত্মহত্যার কারণ বলে গবেষকরা মনে করছেন।
শনিবার সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে। এ সময় গত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে আত্মহত্যা: হতাশায় নিমজ্জিত শিক্ষার্থীরা’ শীর্ষক সমীক্ষায় দেখা যায়, আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের ৬৫ জন পুরুষ, ৩৬ জন নারী। এর ৬০ শতাংশই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের।
সংবাদ সম্মেলনে সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন আঁচল ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ফারজানা আক্তার বিথি। তিনি বলেন, ‘সাধারণত নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা গেলেও এবার বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, পুরুষ আত্মহত্যাকারীদের সংখ্যা নারীদের প্রায় দ্বিগুণ।’
তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরুষ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে আত্মহত্যার নীরব মহামারি চলছে। কিন্তু আত্মহত্যা এবং এর চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। একে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে। সেই অনুযায়ী প্রতিরোধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত দেড় বছরে দেশে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। অথচ আমাদের সব প্রচেষ্টা করোনা মহামারি নিয়ে। আত্মহত্যা সামলাতে পরিকল্পিত প্রচেষ্টা নেই।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমদ বলেন, আত্মহত্যা এবং এর চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে দেখার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
বেসরকারি সংগঠন ইনোভেশন ফর ওয়েলবিইংয়ের প্রতিষ্ঠাতা মনিরা রহমান বলেন, পরিবারের মধ্যে বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষদের সহমর্মিতা দিয়ে কাছে নিতে হবে।
আঁচলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর শিক্ষা শিক্ষার্থীরা না পাওয়ায় তাদের জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটলে সেটা সামলাতে পারে না।