ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়

ভূমি অধিগ্রহণে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকাই চান উপাচার্য

ভূমি অধিগ্রহণে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকাই চান উপাচার্য

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২২ | ১১:৪২ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২ | ১২:০০

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণে অবশেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রাক্কলিত ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দের জন্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলেন উপাচার্য। ফলে ডিসির প্রাক্কলিত ব্যয়কেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঠিক ধরে নিয়েই এগোচ্ছে। আর এতে সরকারের সাশ্রয় হতে যাচ্ছে ৩৫৯ কোটি টাকা।

রোববার উপাচার্য নাছিম আখতার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।

ভূমি অধিগ্রহণে জমির মুল্য ৫৫৩ কোটি টাকা চেয়ে স্থানীয় লক্ষ্মীপুর ইউপির চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ মালিকদের করা রিটের শুনানি হওয়ার তিন দিনের মাথায় এ চিঠি দিলেন উপাচার্য। জমির মালিকদের করা রিটের রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২০ এপ্রিল।

উপাচার্যের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ডিসি ৬২.৫ একর জমির মোট মূল্য ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৭ টাকা প্রাক্কলন করেন। ওই অর্থ ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে জরুরি থোক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

চিঠির বিষয়ে উপাচার্য নাছিম আখতার বলেন, সেলিম খানদের মামলার রায় কী হবে, তা তো বলা যায় না। তবে এজন্য কাজ থেমে থাকতে পারে না। তাই ভূমি অধিগ্রহণে ডিসির প্রাক্কলিত টাকাই বরাদ্দের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আদালতের স্থিতিবস্থা উঠে যাওয়ায় এ চিঠি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। টাকা পেলে জেলা প্রশাসক তা জমির মালিকদের দেবেন। তবে আদালতের রায়ে অন্য কিছু থাকলে তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার প্রাক্কলন দিয়েছি। আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি, সকল দলিল ধরে মূল্য নির্ধারণ করলে দাম হতো ৫৫৩ কোটি টাকা। আর যে দলিলগুলো উচ্চমূল্যের সেগুলো বাদ দিয়ে প্রাক্কলন করলে দাম আসে ১৯৩ কোটি টাকা।’

আরও পড়ুন

×