ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই দুই বছর

প্রায় দুই বছর পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির বিমানবন্দর থানা পুলিশ সদস্যরা। থানার ব্যারাক, টয়লেট, হাজতখানা, বাথরুমসহ থানা কম্পাউন্ড ময়লায় ভরে গেছে। বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। মাঝে মধ্যে ভাড়া করা কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে কাজ করানো হয়। এতে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পুলিশ সদস্যরা। বড় ধরনের রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাঁরা।

পুলিশ জানায়, এ বিষয়টি ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারকে জানানোর পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। এ ছাড়া ওই উপপুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে থানায় অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করা হলেও এখন পর্যন্ত শূন্য আছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদটি।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন ডিএমপির বিমানবন্দর থানা ঘুরে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই বিমানবন্দর থানায়। এর আগে সুজন বাশফোড় নামে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পর আর কেউ যোগদান করেননি।
থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, বর্তমানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় থানার ব্যারাক, টয়লেট, হাজতখানা, বাথরুমসহ থানা কম্পাউন্ড ময়লা আর্বজনায় ভরে গেছে। এ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার এসআই সুমন শিকদার সমকালকে জানান, থানার জনবল ৮৫ জন। এর মধ্যে ওসি ১ জন, পরিদর্শক ২ জন, এসআই ২৮ জন, এএসআই ২৫ জন ও কনস্টেবল ৩১ জন। দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস ও দায়িত্ব পালনে চর্মসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। করোনাসহ রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে থানা কম্পাউন্ড সার্বক্ষণিক পরিস্কার রাখা জরুরি।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম উদ্দিন মোল্যা সমকালকে বলেন, বর্তমানে থানায় কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) নেই। এ কারণে থানার সদস্যরাই অনেক সময় বাথরুমসহ বিভিন্ন স্থান পরিস্কার করেন।