মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার
সন্তান যেন মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়, বখাটের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে
অনুষ্ঠানে ডিএমপি পরিবারের মেধাবী ও কৃতি সন্তানদের মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২:৩০ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২:৩৪
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সন্তান ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারল না বলে কোনো মানসিক চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। মেধা এক সময় বিকশিত হবেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে সন্তান যেন মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়, বখাটের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি পরিবারের মেধাবী সন্তানদের 'বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২১' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি সদর দপ্তরের ষষ্ঠ তলার সম্মেলন কক্ষে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফল করার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে হবে। মানবিক গুণাবলী অর্জন করতে হবে। নিজের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন। এ শিকড় কখনও ছিন্ন করা যাবে না। উচ্চশিক্ষিত হয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে জনগণের সেবা করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ২ লাখ ১২ হাজার সদস্যের পরিবার। এখানে কেউ ভালো করলে সবাই প্রশংসিত হয়। আবার খারাপ করলেও সবার গায়ে লাগে। এজন্য বাহিনীর কোনো সদস্য যেন খারাপ কাজে জড়িয়ে না পড়েন সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এএসআই খায়রুল কবিরের সন্তান এসএসসিতে সব বিষয়ে এ প্লাস পাওয়া নিশাত কবির শর্মি এবং অভিভাবকদের পক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগে অধ্যয়নরত এইচএসসিতে সব বিষয়ে এ প্লাস পাওয়া রিশাত সরকারের বাবা শাহআলী থানার পুলিশ সদস্য রিয়াজ উদ্দিন অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
২০১৭ সাল থেকে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে পুলিশ পরিবারের মেধাবী ও কৃতি সন্তানদের লেখাপড়ায় আরও উদ্বুদ্ধ করতে এই মেধাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ডিএমপিতে কর্মরত ২৭১ জন গর্বিত পুলিশ সদস্যের সন্তান মেধাবৃত্তি পেয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর আইজিপি ১৩৩ জনকে মেধাবৃত্তি দেন। বাকি ১৩৮ জনকে (এসএসসিতে ৭৯ ও এইচএসসিতে ৫৯ জন) আজ মেধাবৃত্তি দেন ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
