বাস চালানোর আড়ালে আইসের কারবার, গ্রেপ্তার ২

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৯:৫৯ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৯:৫৯
জাহাঙ্গীর আলম পেশায় বাসচালক। তবে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে তিনি ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের কারবারেও জড়িত। তিনি ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান আইসের চালান ঢাকায় এনে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার ও এক কেজি ৭০০ গ্রাম আইস জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা গোয়েন্দা ইউনিট। তারা বলছেন, এটি এখন পর্যন্ত ধরা পড়া আইসের সর্ববৃহৎ চালান।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় অধিদপ্তরের মহানগর দক্ষিণ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (গোয়েন্দা) মুহাম্মদ রিফাত হোসেনের নেতৃত্বে উত্তর সায়েদাবাদ হাজী বোরহান উদ্দিন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার সহকারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে এক কেজি ৭০০ গ্রাম আইস পাওয়া যায়। টেকনাফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইস রাজধানীতে আনে জাহাঙ্গীর। সে আইস পাচার চক্রের মূলহোতা। পাশাপাশি সে সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসচালক। মূলত বাস চালানোর আড়ালে সে এসব মাদক টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ও ২০২০ সাল থেকে আইস কারবারে জড়িত। আগে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবা-আইস ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত। পরে নিজেই ঢাকায় এনে বিক্রির জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। ইয়াবার চেয়ে আইসের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় আইস কারবারে জোর দেয় জাহাঙ্গীর। সহযোগী মেহেদীর মাধ্যমে সে সরাসরি মাদক সেবনকারীদের কাছে আইস পৌঁছে দিতো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, আইস মূলত উচ্চমূল্যের মাদক। এ কারণে অভিজাত এলাকার ক্রেতারাই এটি বেশি সেবন করে। আইস ঢাকার ভেতরেই বেশি ব্যবহার হয়। গ্রাম বা মফস্বলে এখনো এর বিস্তার ঘটেনি।
তিনি জানান, জাহাঙ্গীর মাদক বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আগেও চারবার গ্রেপ্তার হয়েছে। উদ্ধারকৃত আইসের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- বিষয় :
- বাসচালক
- ক্রিস্টাল মেথ
- আইস কারবার
- রাজধানী
- গ্রেপ্তার