ডাক্তার-নার্স সেজে অভিজাত এলাকায় চুরি, গ্রেপ্তার ৬

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১৬:০৩ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১৬:০৫
ঢাকার অভিজাত এলাকায় চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন পরে, মুখে মাস্ক লাগিয়ে ও গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে ডাক্তার-নার্স সেজে বাসায় ঢুকে চুরি করে আসছিল একটি চক্র। চক্রের প্রধান আফসানা আক্তার এশা ওরফে মিমসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাতে গুলশানসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। পুলিশ বলছে, মিম ২-৩ মিনিটের মধ্যে বাসা থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যেত।
গ্রেপ্তার অপর পাঁচজন হলো– মিমের বন্ধু তন্ময় বিশ্বাস, স্বপন শেখ, নুরুল ইসলাম, কলিম উদ্দিন কালু ওরফে কলিউল্লাহ ও মোখলেছুর রহমান। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ছয়টি ল্যাপটপ, ১০টি মোবাইল ফোন ও দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করা হয়। এতে মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, মিম ও তার সহযোগীরা কখনও ডাক্তার, কখনও নার্স পরিচয়ে বাসায় ঢুকে চুরি করত। তারা সবাই পেশাদার চোর। পরস্পরের যোগসাজশে তারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি করে আসছিল।
তিনি বলেন, একটি চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর চুরির তথ্য পাওয়া যায়। চোরচক্রের হোতা মিম খুবই ধূর্ত। কোনো বাসায় চুরির আগে তার দল রেকি করে আসত। বিশেষ করে কোন বাসায় অসুস্থ ও বৃদ্ধ মানুষ আছেন, কোন বাসায় কখন মানুষ কম থাকে, কখন কারা সন্তান নিয়ে স্কুলে যান– এসব খোঁজ নিত তারা। সেসব তথ্যের সঙ্গে মিল রেখে নিজেদের চিকিৎসক বা নার্স পরিচয় দিয়ে ঢুকত তারা। ডাক্তার বা নার্সের অ্যাপ্রোন পরা দেখে বাসার নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সন্দেহ করতেন না। সাধারণত সকাল বেলায় তারা চুরি করত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি ও উত্তরার মতো অভিজাত এলাকায় দিনে একাধিক চুরিও করেছে চক্রটি।
উপকমিশনার জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে গুলশানসহ বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা ও দুটি সাজা পরোয়ানা রয়েছে। গুলশান, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানায় একবার করে চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিল মিম। এ ছাড়া মোখলেছুর রহমান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল।