নারীর জন্য থাকা প্রকল্পের বরাদ্দ মূল্যায়নে গুরুত্বারোপ
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩ | ২০:৪০
নারীর জন্য থাকা সুনির্দিষ্ট প্রকল্পগুলোর বরাদ্দের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের গবেষকরা। তারা বলেন, প্রকল্পগুলোর জেন্ডার সংবেদনশীলতা যাচাইয়ের খাতগুলো কতটা জেন্ডার সংবেদনশীল, তাও যাচাই করা দরকার।
বুধবার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জেন্ডার বাজেট মনিটরিং’ গবেষণার ফল নীতিনির্ধারক ও অন্যান্য অংশীজনের সামনে উপস্থাপন করা হয়। মহিলা পরিষদ ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বক্তব্য দেন– মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। গবেষণার প্রেক্ষাপট আলোচনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। তথ্য উপস্থাপন করেন সানেমের গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান এবং ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইশরাত জাহান ঊর্মী।
সায়মা হক বিদিশা বলেন, গবেষণার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক– কভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব, জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট নিয়ে গবেষণার সারসংক্ষেপ ও জেন্ডার সংবেদনশীল পলিসি ডকুমেন্টের বিশ্লেষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, জেন্ডার বাজেট যে প্রক্রিয়ায় করা হয়, তাতে কিছু পরিমার্জন প্রয়োজন। মন্ত্রণালয়গুলোতে বরাদ্দ থাকলেও বরাদ্দকে যে জেন্ডার লেন্সের মাধ্যমে দেখা হয়, সেই লেন্সকে পরিবীক্ষণ করতে হবে। সর্বোপরি মৌলিক যে বিষয়গুলো আছে যেমন– নারীর ক্ষমতায়নে সরকারি যেসব পলিসি ডকুমেন্ট আছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে; বাল্যবিয়ে কমানো, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঘরে-বাইরে এবং কর্মক্ষেত্রে, সম্পদে সমানাধিকার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, জেন্ডার বাজেট প্রণয়নে ইতিবাচক সাড়া আসায় ৪৪টি মন্ত্রণালয়ে এখন জেন্ডার বাজেট আছে। ২৫ থেকে ৩৪ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে। তবে এ বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রকৃতই উন্নয়ন আনছে কিনা, তা দেখতে হবে।
তৌফিকুল ইসলাম খান ও ইশরাত জাহান ঊর্মী বলেন, প্রান্তিক নারীর জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ করা যায় কিনা দেখতে হবে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় লিগ্যাল এইড সাপোর্ট বাড়াতে হবে।
