ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

প্রাইভেটকার চালাচ্ছিল কিশোর, ঘটল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা

প্রাইভেটকার চালাচ্ছিল কিশোর, ঘটল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা

ছবি- সিসি ক্যামেরার ভিডিও থেকে নেওয়া

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:৫২ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:৫৩

রোববার রাত ৮টা। রাজধানীর মোহাম্মপুরের ইকবাল রোডের এক পাশ দিয়ে চলছিল একটি রিকশা। এতে যাত্রী ছিল শিশুসহ তিনজন। এ সময় হঠাৎ একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার সড়কের মোড় ঘুরে সামনে থেকে রিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের অন্য পাশে ছিটড়ে পড়ে রিকশাটি। প্রাইভেটকারের নিচের চাপা পড়েন রিকশাচালক ও যাত্রীরা।

ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধরা পড়া ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রিকশাচালক হাবিবুর রহমান (৪৫), যাত্রী ইমরান রেজা (৩৮) ও তার স্ত্রী আফরোজা আহমেদ (৩৪)। এতে আরও আহত হন আফরোজা ও ইমরানের তিন বছর বয়সী মেয়ে এনায়া রেজা (৩)। আফরোজার মেরুদণ্ডের হাড়, বাম পায়ের গোড়ালির হাড় ভেঙে গেছে এবং কপাল ফেটে গেছে। হাবিবুরের মাথা ফেটেছে। এ ছাড়া তার ডান হাতসহ শরীরের কয়েকটি জায়গার হাড় ভেঙে গেছে। তিনি এখন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি।

ইমরান ও আফরোজা রাজধানীর দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইমরানের বাম হাতের বাহুর চামড়া উঠে তৈরি হয়েছে গভীর ক্ষত। এনায়ার দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে।

জানা গেছে, প্রাইভেটকার চালাচ্ছিলেন এক কিশোর (১৫)। যাত্রীর আসনে ছিলেন সালমান হায়দার নামে এক তরুণ। তিনি ঢাকার এক কাউন্সিলরের ছেলে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই কিশোর ও তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তাদের আসামি করে মামলা হয়। পরে ওই কিশোরকে সংশোধনাগারে এবং তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আফরোজার বোন আফসানা আহমেদ বলেন, আফরোজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করছেন। তার স্বামী ইমরান পেশায় প্রকৌশলী। তাদের সাত বছর ও তিন বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে। তারা মোহাম্মদপুরে বসবাস করেন। ঘটনার রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছিলেন তারা। আফরোজার অবস্থা সংকটাপন্ন।

জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে বসবাস করেন সালমান। আর কিশোরটির বাসা মোহাম্মদপুরের শের শাহ শুরি রোডে। প্রাইভেটকারটি সালমানের এক বন্ধুর। তাদের বাসা লালমাটিয়ায়। তার ওই বন্ধু গাড়িটি সালমানের বাসার গ্যারেজে রাখতেন। সালমান গাড়িটি বিভিন্ন সময় নিজেই চালাতেন। কিশোরের বাবা সৌদিপ্রবাসী। সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে প্রাইভেটকার চালানো শেখানোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই কিশোর ও তরুণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

×