ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

শাহজালালে দায়িত্বের আড়ালে স্বর্ণ পাচার

শাহজালালে দায়িত্বের আড়ালে স্বর্ণ পাচার

প্রতীকী ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১৬:৪১

সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস গলায় ঝুলিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আড়ালে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। তারা পেশাদার চোরাকারবারিদের সঙ্গে জড়িত। তবে অভিযোগ উঠেছে, মামলা তদন্তে কাস্টমস ও এপিবিএনের দেওয়া আসামির বাইরে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। ফলে বরাবরের মতো আড়ালেই থাকছে হোতারা। 

জানা যায়, গত শনিবার বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০টি স্বর্ণবারসহ নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের কর্মীসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএনের সদস্যরা। এ ঘটনায় এপিবিএন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা করে। এ ছাড়া একই দিন বিমানবন্দরে চোরাচালান চক্রের আরও ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের 
পাউডার, স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বাদী হয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। 

দুই মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি হলো– নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের গাড়িচালক মো. হেলাল, রিসিভার কামাল হোসেন এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, নাঈম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম। 

পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের তোলা হয়। এ সময় শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালাত। 

বিমানবন্দর থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত খান সমকালকে বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্য গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে। স্বর্ণ পাচারে বিমানবন্দরের কোনো সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার, প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। 

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটের চোরাকারবারি চক্রের দেওয়া ৪০টি স্বর্ণের বার নিজের হেফাজতে নিয়ে রিসিভার কামালকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলাল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের সামনে কার পার্কিং এলাকায় তাদের আটক করে এপিবিএন। জব্দ করা হয় ৪০টি স্বর্ণবার। এ ছাড়া অপর একটি ফ্লাইটের ছয় চোরাকারবারির লাগেজ ও দেহ তল্লাশি করে ৪ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পাউডারসহ স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। 

এর আগে গত মাসে বিমানবন্দরে সাড়ে তিন কেজি স্বর্ণবারসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক উপপরিচালক মাসুদ ঈমামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গত বছর বিমানবন্দরে ১৪ কেজি স্বর্ণবারসহ হারুনর রশিদ নামে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর এক ঘটনায় ৬ হাজার ৯৬০ গ্রাম স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয় জামাল ভুঁইয়া নামে বিমানবন্দরের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে।

আরও পড়ুন

×