দুই দিনের ব্যবধানে মোহাম্মদপুরে আরেক যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪৭
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম নাসির বিশ্বাস (২৩)। শুক্রবার সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবি কবরস্থানের এক নম্বর ফটকের পাশে তার ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান সমকালকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে টহল পুলিশ সেখানে যায়। তখন ওই যুবককে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয় তা জানার চেষ্টা চলছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই ইসলাম বিশ্বাস জানান, হাজারীবাগের রায়েরবাজার এলাকার বাড়ৈখালীর ১২ নম্বর সড়কের বাসায় থাকতেন নাসির। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী ছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। পরে স্বজনরা লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, কারা যেন নাসিরকে কুপিয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত পৌনে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিন বোন ও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে নাসির ছিলেন চতুর্থ। তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে।
নিহতের বন্ধু শাওন আহমেদ বলেন, মোটরসাইকেলে দুজনে সাদেক খান কৃষি মার্কেট এলাকায় গেলে মারামারি দেখতে পাই। সেখানে এক যুবক নাসিরের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে কবরস্থানের দিকে দৌঁড় দেন। কিছু যুবক তার পিছু নিয়ে কবরস্থানের ফটকের পাশে নাসিরকে কুপিয়ে চলে যায়। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন।
এদিকে পুলিশ বলছে, মুন্না হাওলাদার নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তারা। সেই যুবকের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ ও রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় এলাকার গ্রিন ভিউ হাউজিং সংলগ্ন সড়কে শাহাদত হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি রাস্তার পাশের একটি বাসায় ঢুকে পড়লে দুর্বৃত্তরা সেখানে গিয়েও তাকে কুপিয়ে চলে যায়। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শাহাদতকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় জড়িতদের এখনও আইনের আওতায় আনা যায়নি।
- বিষয় :
- কুপিয়ে হত্যা
- হত্যা
- যুবক খুন