ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিল পূরণ নিশ্চিতে জলবায়ুতে অর্থ বরাদ্দের দাবি তরুণদের

লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিল পূরণ নিশ্চিতে জলবায়ুতে অর্থ বরাদ্দের দাবি

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৬:২৯ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৭:৫৭

লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিলে ঘাটতি পূরণ করে জলবায়ু সুরক্ষায় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন পাঁচ শতাধিক তরুণ জলবায়ু কর্মী। একইসঙ্গে টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর এবং ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধেরও দাবি জানান তারা। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে  অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ-এর  যুব প্ল্যাটফর্ম এক্টিভিস্টা বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত ক্লাইমেট স্ট্রাইকে, ইয়ুথ একশন ফর সোশাল ডেভেলপমেন্ট- (ওয়াই এ এস ডি) ঢাকা, সুনামগঞ্জ, ও চট্টগ্রামের জলবায়ু কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং বিশ্বনেতাদের কাছে এই দাবি জানান।

জলবায়ু সুরক্ষা ও জলবায়ুতে অর্থায়নের নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানাতে বিশ্বে চলমান গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকের অংশ হিসেবে গতকাল জলবায়ু ধর্মঘটে নামেন তরুণ জলবায়ু আন্দোলনকারীরা। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শিক্ষা ভবন প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে সমবেত হন পাঁচ শতাধিক জলবায়ু কর্মী। সেখানে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কার্যক্রমের সমাপ্তি টানেন তারা।

সমাবেশে আন্দোলনকারীরা জানান, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তারা নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। বছরে ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিকে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। আর এই ভর্তুকি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণকে উৎসাহিত করছে। উন্নত দেশগুলো এই ভর্তুকি দানে উৎসাহ দিচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসে ভূমিকা রাখছে এমন অনেক ব্যবসা সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি পায়। এ বাবদ প্রতিবছর খরচ হচ্ছে প্রায় ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক জিডিপির আড়াই শতাংশ। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে দক্ষিণের দেশগুলোর তরুণ, কৃষক, নারী এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে। এ অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

জলবায়ু সংকট নিরসন, এই বিষয়ে ন্যায়বিচার দাবি ও জনগণকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশ ও এক্টিভিস্টা বাংলাদেশসহ ১৫টি সংগঠনের পাঁচ শতাধিক তরুণ জলবায়ু কর্মী এই স্ট্রাইকে অংশ নেন। একই সময় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, গাজীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনা, কক্সবাজার এবং বরগুনাসহ ১৯টি জেলার এবং ৭টি লোকাল ইয়ুথ হাবের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরাও গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেন।

শান্তিপূর্ণ এই জলবায়ু ধর্মঘটে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো’, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ ইত্যাদি লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন স্ট্রাইকে যোগ দেওয়া জলবায়ু আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন

×