নির্ধারিত স্থান রেখে মহাসড়ক ঘেঁষে পশুর হাট, ভোগান্তি

ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫ | ১৯:৪২ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫ | ২২:১৪
নির্ধারিত স্থান রেখে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়ক ঘেঁষে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এতে করে সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। ঈদযাত্রায় বাড়তি ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। পশুর হাটটি নির্ধারিত স্থানে পাঠানোর জন্য আবেদন করলেও ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে উত্তরা রানাভোলা সুইচগেট সংলগ্ন স্থানে হাটের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। হাটটি ইজারা নিয়েছেন আতিকুর রহমান নামে তুরাগ থানা এলাকার এক ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটের জন্য প্রশাসন যে স্থান বরাদ্দ দিয়েছে, সেখানে কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। তবে সেখানে কামারপাড়া পুলিশ বক্স মোড়ে একটি হাট রয়েছে। রানাভোলা মৌজা হলেও এই জায়গাটি উল্লেখিত হাটের স্থান নয়। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়ক ঘেঁষে বসানো হয়েছে হাটটি। সেখানে হাটের তোরণে ইজারাদার হিসেবে আতিকুর রহমানের নাম রয়েছে। তবে হাটের কারণে সড়কে বাড়তি মানুষের চাপ তৈরি হয়েছে। যে কারণে সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। ফলে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়ছেন বাড়িফেরা মানুষেরা।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, নির্ধারিত স্থানে হাট না বসিয়ে মহাসড়কে হাট বসানোর কোনো এখতিয়ার নেই। কামারপাড়া হাট নামে কোনো হাটের ইজারা দেয়নি ডিএনসিসি। বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদের নেতৃত্বে অভিযানের কথা জানান তিনি।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কোনো অভিযান চলেনি সড়কের পাশের হাটে।
পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ইজারা সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র দেখেই আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছি। মহাসড়কের পাশে হাটের বৈধতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ইজারা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমরা শুধুই দায়িত্ব পালন করছি।
এদিকে হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমানের মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে হাটের তত্ত্বাবধানে থাকা তুরাগের স্থানীয় বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম জানান, হাট বৈধ। কাগজপত্র আছে।
- বিষয় :
- ভোগান্তি
- পশুর হাট
- কোরবানির হাট