ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

অবৈধ বিটকয়েনে কোটিপতি ইকবাল

অবৈধ বিটকয়েনে কোটিপতি ইকবাল

ইকবাল হোসেন ওরফে সুমন

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২১ | ১১:৫৮ | আপডেট: ০৩ মে ২০২১ | ১২:১৩

ইকবাল হোসেন ওরফে সুমন। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করে অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজ শুরু করেন। শুরুতে একটা ছোট অফিস থাকলেও এখন রাজধানীর বাড্ডায় একটি ভবনের তিনটি ফ্লোরজুড়ে তার অফিস। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকা তার 'বেসিক বিজ মার্কেটিং' নামের প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী ৩২ জন। এসব তিনি করেছেন অবৈধ বিটকয়েনের ব্যবসা আর অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে।

শুধু বিশাল পরিসরে অফিস নয়, এই অবৈধ ব্যবসা করে তিনি এখন কোটিপতি। ফ্ল্যাট, প্লট, গাড়ি আর সুপারশপের মালিক হয়েছেন। রোববার গভীর রাতে র‌্যাব উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে ১১ সহযোগীসহ ইকবালকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার মূল হোতা এই সুমন। তাকে ওই জগতের লোকজন কয়েন সুমন নামে চেনে। বেসিক বিজ মার্কেটিং নামে একটি আউটসোর্সিং ব্যবসার আড়ালে সুমন মূলত অনলাইনে প্রতারণার ব্যবসা পেতে বসেছিলেন।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। এর লেনদেনকারী অনলাইন প্রতিষ্ঠানে নাম লিখিয়ে ব্যবসা শুরু করে থাকেন। সংশ্নিষ্ট ব্যক্তি একটি ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মালিক হন, বিটকয়েন জমান। বিটকয়েনের দাম বেড়ে গেলে বেচে দিতেও পারেন। এটা অনেকটা শেয়ারবাজারের মতো। বিটকয়েন বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। এর কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষ নেই। কৌশলে এর দাম কমিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করা হয়।

সোমবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার সুমন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে র‌্যাব ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিনটি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাবলেট ফোন ও কিছু নথিপত্র জব্দ করেছে।

র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল বলেছেন, বিটকয়েনের ব্যবসা করে তিনি ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপারশপের মালিক হয়েছেন। তার একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট আছে। এসব ওয়ালেটে গ্রেপ্তারের সময়ও দেড় লাখ ডলার জমা ছিল। গত বছরও তিনি বিটকয়েনের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশ-বিদেশের ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া ও পরে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে। দেশেও ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িদের কাছে ইকবাল বিটকয়েন বিক্রি করতেন। অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির সঙ্গে তিনি জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন

×