ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

শেয়ার বাজার

রমজানে লেনদেন বাড়াতে শেয়ার কিনবে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান

রমজানে লেনদেন বাড়াতে শেয়ার কিনবে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান

ফাইল ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২ | ২২:৩২

আসন্ন রমজানে শেয়ার লেনদেনের গতি ধরে রাখতে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেকে সাধ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ করবে। এতে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর তিন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম। তার আশা, এই বিনিয়োগ এলে গত বছরের তুলনায় এ বছরের রমজানে শেয়ার লেনদেন বহুগুণ বাড়বে।

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি কার্যালয়ে বৈঠকটি হয়। বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিবিএর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান এবং এএএমসিএমএফের সভাপতি হাসান ইমামসহ অন্য নেতারা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসির চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যাতে তারা বাজারে বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে পারে।

সম্প্রতি বিএমবিএর পক্ষ থেকে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকার যে বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব বিএসইসির কাছে জমা দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। কীভাবে এ তহবিল গঠন করা যায়, সে বিষয়ে বিএসইসি উদ্যোগ নেবে বলে জানান রেজাউল করিম। তিনি বলেন, অবিলম্বে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের নতুন করে নিজস্ব পোর্টফোলিও থেকে যাতে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, তার জন্য বিএমবিএর পক্ষ থেকে সব সদস্য মার্চেন্ট ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী রমজানে সব ব্রোকার ডিলার প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে ডিবিএর সভাপতি আশ্বস্ত করেছেন। এতে করে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ হবে। রেজাউল করিম বলেন, গত কিছু দিনে এসব প্রতিষ্ঠান মিউচুয়াল ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করে বাজারকে 'সাপোর্ট' দিয়েছে। এ ধরনের সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন। নিজস্ব তহবিল থেকে এবং শেয়ারবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে বলেও জানান তিনি।

বাজার সংক্ষেপ :এদিকে গতকাল দেশের দুই শেয়ারবাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দর, সূচক এবং লেনদেন কমেছে। তবে বীমা খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। বীমা কোম্পানিগুলোর মূলধন বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণের পরিমাণ ৬০ শতাংশে উন্নীত করার বিষয়ে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ গত মঙ্গলবার যে চিঠি পাঠিয়েছে, সেই খবরে গতকাল বীমা খাতের শেয়ারের দর বাড়ে বলে মনে করছেন সংশ্নিষ্টরা। তালিকাভুক্ত ৫৩ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪৯টিরই দর বেড়েছে। এই শেয়ারসহ ডিএসইতে ১০৯ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। গতকাল মোট ৩৭৯ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়। অর্থাৎ বীমার বাইরে বাকি ৩২৬ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে মাত্র ৬০টির দর বেড়েছে। গতকাল লেনদেনের মাঝে মোট ১১০ শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ৪৩টি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত ওই দরে কেনাবেচা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×