ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

এলডিসির স্বার্থ নিয়ে সমঝোতা হয়নি

এলডিসির স্বার্থ নিয়ে সমঝোতা হয়নি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২২ | ১০:৩০ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২২ | ১০:৩০

বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম সম্মেলনের শেষ দিনে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত বা এলডিসিগুলোর সুবিধা দেওয়া এবং অন্যান্য প্রধান ইস্যুতে সমঝোতা হয়নি। এ অবস্থায় সম্মেলন একদিন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।

গত ১২ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুরু হওয়া এ সম্মেলন বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশসহ এলডিসি উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর পক্ষ থেকে দাবি ছিল, এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর আরও কয়েক বছর যাতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং অন্যান্য অগ্রাধিকার অব্যাহত থাকে।

বুধবার ডব্লিউটিওর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্থাটির মহাপরিচালক ওকোনজো আইওয়ালা ১২তম সম্মেলনের চেয়ার তিমুর সুলেমেনাভ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জেনেভা সময় বিকেল ৩টায় সম্মেলন আরও একদিন পেছানোর ঘোষণা দেন। কেননা, প্রধান ইস্যুগুলোতে এখনও আলোচনা চলমান। গত সোমবার ডব্লিউটিও মহাপরিচালক সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান যে, সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং সবাইকে একটি অর্থবহ চুক্তির দিকে যাওয়ার দিকে যেতে হবে।

জেনেভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এলডিসিগুলোর স্বার্থ-সংশ্নিষ্ট এবং অন্যান্য মৌলিক বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত আলোচনায় ঐকমত্য হয়নি। আজকের আলোচনায় যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হবে সম্মেলন। তিনি জানান, এবারের সম্মেলনে এলডিসিগুলোর পক্ষ থেকে প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল এলডিসি থেকে উত্তরণের পর অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা ৮ থেকে ১০ বছর অব্যাহত রাখা, ট্রিপস চুক্তি পরিপালনের অব্যাহতি এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বহাল রাখা, গভীর সমুদ্রে অবাধে মৎস্য শিকারে ভর্তুকি বন্ধ করা, খাদ্য নিরাপত্তায় বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানো ইত্যাদি। এসব দাবির বিষয়ে কোনো সমঝোতা এখনও হয়নি।

সম্মেলনে করোনার অভিঘাত মোকাবিলার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নত দেশগুলোর আর্থিক ও বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানো এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে খাদ্য চলাচলে বাধা না দেওয়া। খাদ্যের বিষয়ে কোনো দেশ যাতে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক উদ্যোগ না নেয়, তা নিয়েও এজেন্ডা হয়েছে। এসব ইস্যুতে গত তিন দিনের আলোচনায় দরকষাকষি চলছে। আলোচনার মাধ্যমে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোতে সমঝোতার জন্য সম্মেলনের সময় একদিন বাড়িয়েছে ডব্লিউটিও।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হবে। বাংলাদেশ আরও ৮ থেকে ১০ বছর এলডিসি হিসেবে বর্তমানে প্রাপ্ত অন্যান্য সুবিধা চায়। এ ছাড়া ওষুধ শিল্পের জন্য মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ চুক্তি থেকে একই সময়ের সুবিধা চায়। এলডিসি থাকলে বাংলাদেশ ওই সুবিধা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত পেত।

বাংলাদেশসহ এলডিসিগুলোর পক্ষে চাঁদ প্রজাতন্ত্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সাধারণ পরিষদে এবং মেধাসম্পদ অধিকারের বাণিজ্যবিষয়ক প্রেক্ষিত সংক্রান্ত পরিষদের কাছে গত বছর লিখিতভাবে প্রস্তাব জমা দেয়।

আরও পড়ুন

×