ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

দিল্লি থেকে ফিরে বাণিজ্যমন্ত্রী

সাত নিত্যপণ্য আমদানিতে কোটা দেবে ভারত

সাত নিত্যপণ্য আমদানিতে কোটা দেবে ভারত

ছবি: ফাইল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৮:০০

চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডাল এই সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশকে বার্ষিক কোটা দিতে রাজি হয়েছে ভারত। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

গত ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশ খাদ্যপণ্য সরবরাহের অনিশ্চয়তার কারণে এসব পণ্য আমদানিতে আলাদা কোটা চায়। সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ুশ গয়াল নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সাতটি খাদ্যপণ্য আমদানিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বার্ষিক কোটা সুবিধার জন্য অনুরোধ করা হয়। ভারত বলেছে, কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ কোটার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ সেই পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে না। তাই আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজ ও গম রপ্তানি বন্ধ করায় আগে আমাদের সমস্যা হয়েছিল। ভারত যেন হঠাৎ বন্ধ করে না দেয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। কোনো পণ্য রপ্তানি বন্ধ করার অন্তত এক মাস আগে যের জানায়, সে বিষয়েও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার এসব প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে দেখবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ৪৫ লাখ টন গম, ২০ লাখ টন চাল, ৭ লাখ টন পেঁয়াজ, ১৫ লাখ টন চিনি, ১ দশমিক ২৫ লাখ টন আদা, ৩০ হাজার টন মসুর ডাল ও ১০ হাজার টন রসুনের কোটা চেয়েছে বাংলাদেশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সভায় কথা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা, শুল্ক্ক ও অশুল্ক্ক বাধা দূর করে বাণিজ্য সহজ করা, বর্ডার হাট পুনরায় চালু করার মতো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্ডার হাটগুলো পুনরায় চালু করতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পাটপণ্যের ওপর ২০১৭ সাল থেকে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি তুলে নেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশ নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানি করবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্নিষ্টদের পরামর্শ দরকার। রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য শুরু করেছে ভারত।

তিনি জানান, ভারতের কাছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘমেয়াদি ভিসার দাবি ছিল। এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ভারত থেকে উচ্চ ফলনশীল রাবার ক্লোন আমদানি করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী উৎসাহ দিয়েছিলেন। কারণ, আমাদের দেশের রাবার খুব বেশি ভালো হয় না।

তিনি বলেন, দুই দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) নিয়ে একটা ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ১০টি এবং ভারতের ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইওদের নিয়ে এ ফোরাম গঠন করা যেতে পারে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ইস্যুতে এ ফোরাম দুই দেশের সরকারকে পরামর্শ দেবে।

আরও পড়ুন

×