ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

বুয়েট ও ইউনিলিভারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

বুয়েট ও ইউনিলিভারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩ | ১৫:১৪ | আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ | ১৫:১৪

গবেষণা কার্যক্রম বিষয়ে সম্প্রতি ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর আওতায় ইউনিলিভারের সহায়তায় বুয়েটের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ) প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা বিষয়ে কাজ করবে। 

মঙ্গলবার ইউনিলিভার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ সম্পর্কিত গবেষণা প্রকল্পটি ‘লেস প্লাস্টিক, বেটার প্লাস্টিক, নো প্লাস্টিক’ মডেলের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বর্জ্যমুক্ত ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ইউবিএলের প্রতিশ্রুতির অন্তর্ভুক্ত। 

রাজধানীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ইউবিএলের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান। 

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান বিশ্বের প্রধানতম তিনটি সংকট হচ্ছে- জলবায়ু পরিবর্তন, জীব বৈচিত্র্যের উপর হুমকি ও প্লাস্টিক দূষণ। এই সংকটগুলো মোকাবিলায় নীতি ও কৌশলগুলোর ওপর বাংলাদেশেরও ভবিষ্যত নির্ভর করছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ আমাদের পরিবেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যাবস্থাপনাকে ব্যবসায়িক মডেলে নিয়ে এসে সমাধানের উপায় বের করা প্রয়োজন। 

অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়া একটি টেকসই ভবিষ্যত নির্মাণে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের উৎসাহ ও সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডাস্ট্রি লিডার ও একাডেমিক ইনস্টিটিউশনের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব অধিকতর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি উদ্যোগে অবদান রাখতে পারে।

জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমরা এখন প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনায় একটি টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে চলেছি। তাই এই খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এমন গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করার এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। টেকসই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য পূরণে উদ্ভাবন ও গবেষণায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বুয়েটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

আরও পড়ুন

×