পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০
যে কোনো সৎ ব্যবসায়ীর জন্য এফবিসিসিআই পাশে থাকবে। অন্যদিকে অসৎ ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে দাঁড়াবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যারা দ্রব্যমূল্য বাড়ায়, তারা ব্যবসায়ী নয়। এফবিসিসিআই অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো অ্যাডভোকেসি করবে না। কৃত্রিম সংকট যারা তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পণ্যের সংকট সৃষ্টি ও বাজার অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেব।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ডলার সংকটের কারণে ছোট ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সিন্ডিকেট করা সহজ নয়। চাহিদা ও জোগানের সঙ্গে মিল রেখে সাপ্লাই চেইন ঠিক থাকলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে হলে আমদানি পণ্যের ওপর করছাড় দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, দেশীয় উৎপাদন খাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নানা পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে দায়ী করা হলেও এর পেছনে সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতা অনেকাংশে দায়ী। বাজার নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় বাধা অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে না পারা। এক বছরের ব্যবধানে খাদ্যদ্রব্যসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বাজারে নিত্যপণ্যে দ্রব্যের যে উত্তাপ, তা সাধারণ মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। নিম্ন আয়ের মানুষ ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পকিছু পণ্য ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারলেও মধ্যবিত্তদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রধানত দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।