বাংলাদেশে ট্রানজিটের অপেক্ষায় ভারতের দুই রাজ্যের ব্যবসায়ীরা

জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডরের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সাথে। ছবি- সমকাল
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪ | ১১:০৯
ভারতের দীর্ঘদিনের প্রস্তাবিত হিলি-তুরা করিডোর বাস্তবায়নে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন ভারতের এক ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল। জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডরের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল চলতি সপ্তাহেই ট্রানজিট চালুর দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মার কাছে এবং নিজেদের দাবি নিয়ে দেখা করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সাথেও।
বাংলাদেশ ট্রানজিট দিলে দুই দিনের পথ হবে মাত্র দুই ঘণ্টার। বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দিন গুণছে ভারতের উত্তর পূর্বের দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের শিলিগুড়ি করিডোর হয়ে মেঘালয় পৌঁছাতে সড়ক পথে সময় লাগে কম করে হলেও ৪৮ ঘণ্টা। বাংলাদেশ ট্রানজিট দিলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলা বালুরঘাটের হিলি সীমান্ত থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা। তাই ব্যবসায়ীক সমৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে দ্রুত ট্রানজিট চালুর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছে ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে ফিরে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল জানায়, ভারত সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে হিলি-তুরা ট্রানজিট করিডোর চালু করার বিষয়ে ভারত প্রস্তুত। এখন অপেক্ষা শুধু বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের।
করিডোর কমিটির আহ্বায়ক ভারতীয় ব্যবসায়ী ড. নবকুমার দাস বলেন, এই ট্রানজিট করিডোর স্থাপন হলে শুধু যে ভারতের উত্তরপূর্বে দুই রাজ্য উপকৃত হবে ব্যাপারটা এমন নয়। উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যান্য ল্যান্ড-লকড রাজ্যগুলির পাশাপাশি দুই দেশেরই উত্তরবঙ্গের প্রভূত উন্নতি ঘটবে। বাংলাদেশের এক সিদ্ধান্তেই দূরের মেঘালয় হয়ে উঠবে কাছের প্রতিবেশী।
করিডোর কমিটির বাংলাদেশি প্রতিনিধি ক্রীড়াবিদ সুব্রত মজুমদার বলেন, হিলি-তুরা করিডোরটি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। সেই সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও কৃষি বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে।