ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ব্যাংকে ৩৩ হাজারের বেশি নারী কর্মী

ব্যাংকে ৩৩ হাজারের বেশি নারী কর্মী

কোলাজ

ওবায়দুল্লাহ রনি

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪ | ১০:৫৯ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫:৩২

দেশের ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে মোট কর্মী দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৯৬ জন। গত জুন শেষে যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৬ এবং গত বছর শেষে ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০২ জন। ২০২৩ সাল শেষে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৩৪৬ জন, যা মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক বছর আগে ছিল ৩১ হাজার ৯৩৯ জন বা মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। এভাবে প্রতিবছরই একটু করে হলেও নারীর অংশ বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অতীতে একসময় নারীদের চাকরি বা ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার মতো সামাজিক ও মানসিক পরিবেশ ছিল না। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এখন শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশ বাড়ছে। ব্যাংকে চাকরির পাশাপাশি এখন পরিচালনা পর্ষদেও অনেক নারী আছেন। কর্মক্ষেত্রে নারীদের হয়রানি বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ, যাতায়াত সুবিধা, মাতৃত্বকালীন ছুটির নিশ্চয়তা, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, ব্যবসার জন্য কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাসহ নানা কারণে গৃহস্থালি কাজের বাইরে নারীরা বিভিন্ন উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকের চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণের হার বাড়লেও গত বছর পরিচালনা পর্ষদে তা সামান্য কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল নারী। আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে নারীর অংশ কমে ৮ শতাংশে নেমেছে। আগে যা ১০ শতাংশ ছিল। বিশেষায়িত ব্যাংকের পর্ষদে ২০২২ সাল শেষে ৪ শতাংশ নারী থাকলেও এখন তা শূন্যে নেমেছে। বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে আগের বছরের ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ থেকে কমে ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমেছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ রয়েছে নারী। ২০২২ সাল শেষে যা ছিল ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

ব্যাংকের চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ যে বাড়ছে, বয়সের বিভাজন দেখলে সহজে তা বোঝা যায়। ব্যাংকে কর্মরত মোট জনবলের মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সী নারী ২১ শতাংশ। ৩০ বছর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়সীদের মধ্যে নারী ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে মাত্র ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ নারী। একইভাবে প্রারম্ভিক পর্যায় তথা চাকরির শুরুর পর্যায়ে কর্মরতদের ১৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নারী। মধ্যবর্তী পর্যায়ের ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং উচ্চ পর্যায়ের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ এখন নারী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্দেশনার আলোকে ব্যাংকগুলো প্রতিবছরই লিঙ্গ সমতাবিষয়ক সচেতনতামূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পালন করছে। সব ব্যাংকে এখন ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর হয়েছে। প্রতিটি ব্যাংক যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা করেছে। তবে অনেক ব্যাংক শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও যাতায়াত নিশ্চিতে পরিবহন ব্যবস্থায় পিছিয়ে আছে অনেক। ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ২৪টি ব্যাংকের নারী কর্মীদের কোনো ধরনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র নেই। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত একক বা যৌথভাবে ৩৭টি ব্যাংক শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র করেছে।

আরও পড়ুন

×