হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শনিবার বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। সিএজি নূরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরম্যান্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক অডিট করতে হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। এর মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট করতে সিএজির সক্ষমতা বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয় প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন হলেও তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। তাই এসব রিপোর্ট পর্যালোচনা-সংক্রান্ত বৈঠক আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, পেনশন কার্যক্রম অটোমেশন হওয়ায় বর্তমানে ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের ব্যয় কমাতে সিএজি বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদপ্তর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে। সিএজি কার্যালয়ের সুপারিশ, অর্থ বিভাগের উদ্যোগ এবং সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নির্দেশনায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে অডিট কমিটি গঠিত হয়েছে। এটা অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।