ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আইএমএফের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

আইএমএফের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ২০:৪১

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে আরও ঋণ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে আইএমএফ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিও এবং বাংলাদেশে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে’র সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক (জুম মিটিং) করেছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। এসময় অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, এটা প্রকৃতপক্ষে একটি সৌজন্য মিটিং ছিল। সেখানে অর্থ উপদেষ্টা চলমান ঋণ কর্মসূচির বাইরে– আইএমএফের কাছে নতুন করে বাজেট সহায়তা চেয়েছেন। তবে উপদেষ্টা নতুন ঋণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্ক উল্লেখ করেননি। আইএমএফ বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে বলে অর্থ উপদেষ্টাকে আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চাইবে বাংলাদেশ। আইএমএফের চলমান ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত পূরণের অগ্রগতি মূল্যায়নে সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশ তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যমান ঋণের আওতায় অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাইবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট সামাল দিতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারের শর্তে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। আইএমএফের এ ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত প্রতিপালন করতে হচ্ছে। ঋণচুক্তির অন্য অনেক শর্ত পরিপালন করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিজার্ভ-সংক্রান্ত শর্ত পরিপালন করতে পারছে না বাংলাদেশ। তার পরও ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে প্রায় ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার চুক্তি রয়েছে।

সর্বশেষ গত ২৭ জুন তৃতীয় কিস্তিতে ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার ছাড় করে আইএমএফ। যদিও সম্পাদিত ঋণচুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড়ের পর পরবর্তী ছয়টি কিস্তিতে সমান ৭০ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ডলার পাওয়ার কথা ছিল। তবে রিজার্ভ সংকটের কারণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অঙ্ক বাড়িয়ে প্রায় ১১৫ কোটি ডলার করে ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়। আইএমএফ তা অনুমোদন করে। ফলে আগামী ডিসেম্বরে আরও প্রায় ১১৫ কোটি ডলার ছাড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন

×