আইসিসিবির সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার
২০২৯ সালের পরও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশি পণ্য

সোমবার আইসিসিবি কার্যালয়ে সংগঠনের নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ফটাে রিলিজ
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫ | ০০:৫০ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ | ০৮:১১
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে বের হবে ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে। এলডিসি হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানিয়েছেন, ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) আওতায় বাংলাদেশের পণ্যের জন্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। ২০২৯ সালের পরও বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ পণ্য এ স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে, যার মধ্যে তৈরি পোশাক অন্যতম।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার গত সোমবার আইসিসি বাংলাদেশ (আইসিসিবি) কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ওই তথ্য জানান। আইসিসিবি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা উল্লেখ করেছে।
আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের শক্তিশালী ও গতিশীল সম্পর্ক ঐতিহাসিক বন্ধন, জনগণ-পর্যায়ের গভীর যোগাযোগ এবং দৃঢ় বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের। বাংলাদেশের আর্থিক সেবা, জ্বালানি এবং শিক্ষা খাতে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদারের আশা করেন।
সারাহ কুক বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের সুপারিশ করেন। ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে হাইকমিশনার উচ্চশিক্ষা, জলবায়ু অর্থায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং বিমান চলাচল খাতের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে আইসিসি বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা দক্ষতা উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রবর্তনে যুক্তরাজ্যের আরও সহায়তার আহ্বান জানান। বৈঠকে আইসিসি বাংলাদেশের সহসভাপতি এ. কে. আজাদ ও নাসের এজাজ বিজয় এবং নির্বাহী বোর্ড সদস্য আব্দুল হাই সরকার, আফতাব উল ইসলাম, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ), ফজলুল হক, মীর নাসির হোসেন, সাঈদ আহমেদ, শওকত আজিজ রাসেল, সিমিন রহমান, ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ. (রুমি) আলী, ডিবিএল গ্রুপের এমডি এম. এ. জব্বার এবং আইসিসিবির মহাসচিব আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
- বিষয় :
- আইসিসিবি