চাল আমদানিতে শুল্ক কমলো, বাড়ল পেঁয়াজে

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ | ১০:৩৯
চাল আমদানিতে সব মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনার পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ দুই বিষয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
নতুন ধান ওঠার পরও বাজারে চালের দাম চড়া। বাজার পরিস্থিতি সামলাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং সরকারের মজুদ বাড়ানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভরা মৌসুমে ভারত রপ্তানি উন্মুক্ত করায় দেশের কৃষকদের স্বার্থে পেঁয়াজের আমদানিতে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চাল আমদানির শুল্ক ছাড় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকবে। আর পেঁয়াজের শুল্ক বিষয়ে কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে চাল আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হলো। পাশাপাশি প্রধান এই খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর থাকা ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্কও বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে চাল আমদানিতে আগাম কর ৫ শতাংশ ও আগাম আয়কর ৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। ফলে এখন থেকে চাল আমদানিতে সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, যা এতদিন ছিল ৬০ শতাংশ।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানিতে নতুন করে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক আরোপ করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি পুনরায় আরোপ করা হয়েছে। গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে এই আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিনা শুল্কে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে। তবে এখন দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানিতে মোট ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
কয়েক মাস ধরে দেশের বাজারে চালের দাম বেশ বেড়েছে। মোটা চালের দামও উঠেছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায়। সরু ও মাঝারি মানের চালের দামও বেশ বেড়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে মজুদ এবং বাজারে সরবরাহ বাড়াতে সরকার তিন বছর পর চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার নিজেই আমদানি করছে। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও আবেদন সাপেক্ষে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি খাদ্য অধিদপ্তরকে ইতোমধ্যে চার দফায় চার লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। অন্যদিকে, ২৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৩৫ হাজার টন আমদানির অনুমোদন দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।