প্রকল্প বারবার সংশোধনের বস্তুনিষ্ঠ বিশ্নেষণ দরকার

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০০:০০
উন্নয়ন প্রকল্পের বারবার সংশোধনের কারণ খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, প্রকল্পের মানসম্পন্ন বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে প্রকৃত কারণ তুলে ধরলে সরকার বিব্রত হবে না। নির্ভুল কোনো তথ্যেই সরকার বিব্রত নয়। বরং কোথাও কোনো দুর্বলতা থাকলে সরকার সতর্ক হতে পারবে।
চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের নিবিড় পরিবীক্ষণ এবং সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন-সংক্রান্ত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) আয়োজনে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
চলমান এক হাজার ৫৯১টি প্রকল্পের মধ্য থেকে ৫৫টির নিবিড় পরিবীক্ষণ এবং ১৮ সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প পরিচালকরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক প্রকল্প শুরু হয়, কিন্তু শেষ হয় না। তিন বছরের প্রকল্প ৯ বছরেও শেষ হয় না। কেন প্রকল্পের বারবার সংশোধন করতে হয়- এ প্রশ্নের নির্মোহ এবং বস্তুনিষ্ঠ বিশ্নেষণ দরকার। জনগণের অর্থেই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। সেই টাকার ব্যয় এবং উন্নয়ন প্রকল্পের গতিবিধি জানার অধিকার রয়েছে সরকারের। জনগণের অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং অপচয় রোধে প্রকল্পের মানসম্পন্ন বাস্তবায়নের প্রকৃত চিত্র জানতে চায় সরকার। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্টদের আরও পেশাদারি এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সরকারকে খুশি করার জন্য প্রতিবেদন তৈরি করলে হবে না। সঠিক তথ্যে সরকার বিব্রত হয় না। বরং সঠিক তথ্যে সরকার সতর্ক হতে পারে। প্রকল্পের মানসম্পন্ন বাস্তবায়ন এবং সময়মতো কাজ শেষ করার প্রয়োজনে ডাটার সঠিক বিশ্নেষণ, যথাযথ ব্যয়ের বিষয়ে নজর দিতে হবে। তিনিও জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রকল্পের প্রতিবেদন প্রায়ই গড়পড়তা। দায়সারা গোছের প্রতিবেদন দেওয়া হয়। মাঠের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না এসব প্রতিবেদনে। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।
আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব ড. সাইফুজ্জামান, আইএমইডির সেক্টর-৩ এর মহাপরিচালক আব্দুল মজিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ডিজেএফবির অফিস উদ্বোধন :গতকাল বিকেলে উন্নয়নবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) অফিস উদ্বোধন করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ১৮ নম্বর ব্লকে ডিজেএফবির জন্য অফিস বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।