শেয়ার বাজার
এখনও অনিশ্চয়তায় তিন ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহক

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২৩:২৫
গ্রাহকদের শেয়ার ও নগদ জমা আত্মসাৎকারী তিন ব্রোকারেজ হাউস তামহা, বানকো এবং ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকদের থেকে অর্থ আদায় করার পরিকল্পনা করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে এ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকরা তাদের সব টাকা ও শেয়ার ফেরত পাবেন কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না দায়িত্বশীল কেউ।
তবে এরই মধ্যে পত্রিকায় এবং নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তিন ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের আগামী ১৫ মের মধ্যে পর্যাপ্ত নথিসহ শেয়ার ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেছে স্টক এক্সচেঞ্জটি। বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই বলেছে, ওই তারিখের পর কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।
একই সঙ্গে এখনও এই তিন ব্রোকারেজ হাউসে কোনো গ্রাহকের বিওতে কোনো শেয়ার থাকলে অন্য কোনো ব্রোকারেজ হাউসে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে তা সরিয়ে নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই।
জানতে চাইলে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার সমকালকে বলেন, প্রথমত ব্রোকারেজ হাউস এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মালিকদের ব্যক্তিগত সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় বিক্রি করে অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। তবে এ প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত সফল হবে কিনা বা সবার দাবি সবটুকু দাবি পরিশোধ করা যাবে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
ব্রোকারেজ হাউসের মালিক কর্তৃক তার গ্রাহকদের অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে তামহা সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে। ঘটনা কয়েক বছরের হলেও প্রকাশ হয়েছে গত নভেম্বরে। এ হাউসটি গ্রাহকদের অন্তত ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ আছে।
২০২০ সালের জুনে শেয়ার ও নগদ জমা থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের তিন হাজার গ্রাহকের প্রায় ৬০ কোটি টাকা, গত বছরের জুনে বানকো সিকিউরিটিজের প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহকের ৬৬ কোটি টাকার আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের আত্মসাৎকৃত শেয়ার ও অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করতে পারেনি স্টক এক্সচেঞ্জ।
সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, এই তিন ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের টাকা ও শেয়ার ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে ডিএসই।