মহামারি
ঔষধ শিল্পে সামাজিক ব্যবসায় মডেল প্রয়োগের এখনই সময়

মুহাম্মদ ইউনূস
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২২ | ১২:০০
করোনা অতিমারি শুরুর পর এই প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসদ (ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেমব্লি) জেনেভায় সভা করছে। সেখানে এ বিষয়ে একটা ঐকমত্য হয়েছে যে, পরবর্তী অতিমারি মোকাবিলায় এখনই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি নির্ধারণকারী এ সংস্থা, যার প্রতিনিধি অনেকেই এসেছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশ থেকে; এ কাজ করতে গিয়ে একটু বেকায়দায় পড়েছেন। কারণ গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারি মোকাবিলায় তাদের বিপর্যয়কর ব্যর্থতার হিসাব-নিকাশ শুরু করেছে, তখন ধনী দেশগুলো চাচ্ছে অতিমারির বিষয়টি ভুলে যেতে।
পরবর্তী অতিমারি ঠেকানোর প্রস্তুতি নিতে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি কিছু দরকার হবে। এ জন্য বিদ্যমান বিশ্ব স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন এনে একটা ন্যায্য স্বাস্থ্য কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে টিকা ও ওষুধ উৎপাদনে সামাজিক ব্যবসায় মডেল প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করা যাবে। সামাজিক ব্যবসায় ব্যবসায়ের এমন একটা ধরন, যা গড়ে উঠেছে টেকসই ব্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানের নীতির ভিত্তিতে এবং যেখানে একজন মালিক একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাঁর বিনিয়োগকৃত টাকার বাইরে লাভ বা আর কোনো টাকা নেন না। এটা হলো কোনো প্রকার বোনাসবিহীন একটা কোম্পানি, যার লক্ষ্য সামাজিক সমস্যার সমাধান; ব্যক্তিগতভাবে টাকা বানানো নয়।
বিশ্বনেতারা চাইলে এ ধরনের একটা কাঠামো গড়ে তোলার পক্ষে জুতসই অনেক পদক্ষেপের কথা বলা যায়। বর্তমান ব্যবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার টিকা উৎপাদন ও বিতরণের জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলোকে শত শত কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে। এ টাকাটাই সামাজিক ব্যবসায়ে নিয়োজিত ওষুধ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করা যায় এবং এর সুবিধা টিকাবঞ্চিত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
বিশ্ব পরিসরে অতিমারি যে বৈষম্য তৈরি করেছে, তা স্পষ্ট। কভিড-১৯ এ পর্যন্ত যে দুই কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, তাদের বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের দেশগুলোর বাসিন্দা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছরের মাঝামাঝি নাগাদ বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু আমরা যখন ওই সময়সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি, তখন নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান হারে টিকা দিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আরও অন্তত আড়াই বছর লাগবে।
টিকা পাওয়ার জন্য নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে এক বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। আবার বিভিন্ন সংস্থা যখন তাদের কাছে টিকা নিয়ে এলো, তখন দেখা গেল একসঙ্গে অনেক টিকা চলে এলো, যেগুলো সংরক্ষণের উপযুক্ত অবকাঠামো ওই দেশগুলোর নেই। এ ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা শুধু ব্যয়বহুলই নয়, সময়সাধ্যও বটে। এর ফলে অনেক টিকা নষ্ট হয়ে গেল। আবার এমনও দেখা গেছে টিকাগুলো যখন তাদের কাছে পৌঁছেছে তখন সেগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। মোট কথা, নিম্ন আয়ের দেশগুলো যখন টিকা পেল তখন টিকাকরণের সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন তাদের পক্ষে সম্ভব হলো না। কারণ কত সংখ্যক টিকা কখন আসবে তা তারা জানত না। ফলে টিকা পেয়েও তারা তাদের জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে রক্ষা করতে পারল না। শুধু তাই নয়, টিকার উৎপাদন মূলত উত্তর গোলার্ধেই, অর্থাৎ ধনী দেশগুলোতেই কেন্দ্রীভূত। অন্যদিকে, ভাইরাস প্রতিরোধী বড়ির মতো প্রচলিত টিকার চেয়ে অধিকতর কার্যকর চিকিৎসাও এলো। যার ফলে ভাইরাসের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে টিকা গ্রহণকারী একজন মানুষকে চিকিৎসার আবর্তন (সাইকেল) আবার শুরু করতে হলো।
২০২২ সালের জন্য ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও মার্ক যথাক্রমে তাদের প্লাকস্লভিড ও লাজেভ্রিও বড়ি যে পরিমাণে উৎপাদন করবে বলে ঠিক করেছে, তার প্রায় সবই ধনী দেশগুলো ইতোমধ্যে কিনে ফেলেছে। উপরন্তু ওই কোম্পানিগুলোই ঠিক করে দিয়েছে, বিশ্বের আর কে কে এসব বড়ি উৎপাদন করতে পারবে। এসব বড়ি উৎপাদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত দেশগুলোর মধ্যে লাতিন আমেরিকার প্রায় সব দেশসহ বিশ্বের বহু দেশ পড়েছে। এমনকি ফাইজার এমনও এক জঘন্য দাবি করেছে যে, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র যদি তাদের প্লাকস্লভিড উৎপাদন করে তাহলে কোম্পানিটির 'মানবাধিকার' খর্ব হবে।
টাকাই ক্ষমতা- এটা আমরা জানি। আমরা এটাও জানি যে, করোনা টিকা ও চিকিৎসা প্রদানে বিশ্বব্যাপী যে নির্মম বৈষম্য ঘটেছে, তা হলো সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনে সব সম্পদ ও মনোযোগ ক্রমবর্ধমান হারে নিবদ্ধ করার ফল। বর্তমান ব্যবস্থায় একটা ওষুধ কোম্পানি তার কাছেই ওষুধ বেচে, যে পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম দিতে পারে এবং যার মাধ্যমে কোম্পানিটির মুনাফাও সর্বোচ্চ হয়। এখানে ন্যায্যতার বিষয়টি ব্রাত্য থেকে যায়। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাওয়া যে-কোনো মানুষের অধিকার, তা বিবেচনায়ই থাকে না। এ ব্যবস্থায় মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকারের মতো বিষয়গুলোকে জনসংযোগ কার্যক্রমের চেয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলে মনে করা হয় না।
এ নির্মম অন্যায্যতার প্রেক্ষাপটে করোনার টিকা, চিকিৎসা ও পরীক্ষা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দ্রুত অর্থায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যমান ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থায় একমাত্র জি-১০ভুক্ত সম্পদশালী দেশগুলোই, যারা বর্তমান সম্পদ পুঞ্জীভবন ব্যবস্থার সুবিধাভোগী; অন্য সবার ত্যাগের বিনিময়ে লাভবান হচ্ছে। তারা চাইলে বর্তমান টিকাবৈষম্য কমিয়ে আনতে পারে। আর এ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যই সম্প্রতি আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি পাঁচ বিলিয়ন ডলার দান করে বিশ্বব্যাপী টিকাকরণ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
টিকা উৎপাদন কিন্তু বন্ধ নেই। তারপরও যে এলাকাগুলোতে এর প্রয়োজন বেশি সেখানে পৌঁছাচ্ছে না কিংবা যেসব মানুষের তা বেশি প্রয়োজন তারা তা পাচ্চ্ছে না। এটা হলফ করেই বলা যায়, সামনে আরও কার্যকর টিকা যখন আবিস্কৃত হবে তখন তা পাবে সর্বোচ্চ দামে তা কিনতে সক্ষম মানুষরা। আর নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মানুষের গতকালের ভোঁতা হাতিয়ার দিয়ে আজকের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তাই বিদ্যমান ব্যবস্থাকে অবশ্যই বদলাতে হবে। টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কোথায় উৎপাদিত হবে, কারা উৎপাদন করবে, কী লক্ষ্যে তা উৎপাদিত হবে এবং তা সবার জন্য সুলভ হবে কিনা- এসব বিষয়ে আমাদের অবশ্যই একটা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরলভাবে বললে, আমাদের করোনা টিকাকে মুনাফা ও মেধাস্বত্বমুক্ত করতে হবে।
আমি সামাজিক ব্যবসায়কেন্দ্রিক ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছি। এ ব্যবস্থায় কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের বোনাস প্রত্যাশা করবে না। তারা টিকা ও ওষুধ উৎপাদন করবে এমন সব জায়গায়, যেখানে ইতোপূর্বে তা পৌঁছেনি। তারা টিকা উৎপাদন করবে এমন সব মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য, যারা বর্তমান ব্যবস্থায় টিকা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। তারা ওষুধ বেচবে উৎপাদন মূল্যে; কোনো ওভারহেড খরচ বা মুনাফার বিষয় সেখানে থাকবে না। প্রয়োজনে কোম্পানিগুলো স্বল্প আয়ের মানুষ যে দামে কিনতে পারে সে দামে ওষুধ বিক্রি করবে। এ জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই একেবারে জলের মতো স্বচ্ছ বিষয়টা নিশ্চিত করেই, একেবারে নিচ থেকে সব জায়গায় সবার কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে, বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে। তার জন্য একদিকে মেধাস্বত্ব আইন ও বিধিগুলো প্রত্যাহার করতে হবে, আরেকদিকে সামাজিক ব্যবসায়-সংক্রান্ত উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে হবে।
বলা দরকার, মেধাস্বত্ব তুলে দিয়ে বিশ্বব্যাপী টিকা উৎপাদনকে উৎসাহিত করার বিষয়টি ইতোমধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এ বিষয়ে বিশ্বমঞ্চে করোনার শুরু থেকেই সোচ্চার কণ্ঠে কথা বলছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ধনী দেশগুলো এখনও বিষয়টার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে বলে মনে হচ্ছে না। তাদের কেউ কেউ হয় দাবিটা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে, কেউবা ধরি মাছ না ছুঁই পানি মার্কা কথা বলছে; তা কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া তো দূরের কথা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা চিকিৎসায় ওই মেধাস্বত্ব তুলে নেওয়ার পথে বাধা তৈরি করে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র টিকার ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব তুলে দেওয়ার কথা বললেও চিকিৎসার জন্য তা প্রযোজ্য হোক, এমনটা চাচ্ছে না। আসলে ধনী দেশগুলো বুঝতে পেরেছে যে, করোনা বিষয়ে তাদের ওপর রাজনৈতিক চাপ ধীরে ধীরে কমে আসছে। ওই দেশগুলোতে করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ও এমনকি তৃতীয় ঢেউ চলাকালে যেভাবে ব্যাপক হারে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, বেঘোরে জীবন দিয়েছে, তা ইতোমধ্যে কমে গেছে। সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবিস্কৃত হলেও তা ততটা মারাত্মক বলে মনে হচ্ছে না। তাই পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা করোনা চিকিৎসায় মেধাস্বত্ব তুলে দেওয়ার জন্য দেনদরবার বর্তমানে তুঙ্গে উঠলেও তাতে কান দিতে রাজি হচ্ছে না।
তবে সংকটের মাত্রা ও গভীরতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিষয়টি শতরঞ্চির নিচে ফেলে রাখার আর সময় নেই। এখনই অতিমারি-সংক্রান্ত চিকিৎসা থেকে মেধাস্বত্বের বিষয়টি তুলে দেওয়া এবং ঔষধ শিল্পে সামাজিক ব্যবসায় মডেল চালু করার মোক্ষম সময়। আমরা যদি দাতব্য মডেল থেকে ধীরে ধীরে সামাজিক ব্যবসায় মডেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই তাহলে প্রথমেই আমাদের স্থানীয়ভাবে করোনার টিকা, পরীক্ষা, চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ও বিতরণের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। নেতৃবৃন্দ মেধাস্বত্ব বাতিল করে এবং সমাজের জন্য উৎপাদনে উৎসাহী উদ্যোগে বিনিয়োগের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। আমার প্রস্তাব হলো, এ প্রক্রিয়ায় পরবর্তী প্রজন্মের করোনা টিকা উৎপাদিত হবে এবং সেগুলো বিশ্বের সব মানুষের জন্য সহজলভ্য করা হবে, যাতে দক্ষিণ গোলার্ধের মানুষদের পুরোনো ভোঁতা হাতিয়ার দিয়ে আগামী দিনের ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে না হয়।
বিশ্বনেতৃবৃন্দ এ মাসেই অনুষ্ঠেয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সভায় করোনা মোকাবিলার হাতিয়ারগুলোর ওপর থেকে মেধাস্বত্ব আইন পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিতে পারেন, যাতে জেনেরিক করোনা টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনের পথে আর কোনো বাধা না থাকে। ওষুধ কোম্পানিগুলো যাতে তাদের করোনার টিকা, পরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রযুক্তি দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর সঙ্গে ভাগ করে নেয় এ জন্যও বিশ্বনেতারা তাঁদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।
আজকে যদি কোনো অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা নিশ্চয় করোনায় যে লাখ লাখ লোক অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা গেছেন, তাদের কোনো কাজে আসবে না। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে নতুন কোনো ভাইরাসের কারণে এভাবে বেঘোরে মানুষের জীবন হারানোর ঘটনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনবে। মোদ্দা কথা, ওই পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে মানব জাতির লড়াইকে সহজ করবে, বিজয়কে ত্বরান্বিত করবে। এর পাশাপাশি আগামী দিনের যে কোনো স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় তা মডেল হিসেবে কাজ করবে। ইতিবাচক কিছু করতে বিশ্বনেতাদের জন্য সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। তাঁরা চাইলে এখনও সবার জন্য স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত; একটা ন্যায্য বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করতে পারেন, যেখানে মুষ্টিমেয় ওষুধ কোম্পানির মুনাফার চেয়ে মানুষের জীবন অগ্রাধিকার পাবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস: ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী স্ট্যাট ডটকম থেকে ভাষান্তর সাইফুর রহমান তপন
- বিষয় :
- মহামারি
- মুহাম্মদ ইউনূস