ডিলার যেন ছাড় না পায়

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০
বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে আসলে কোনো কারণ লাগে না। যখন-তখন দাম বেড়ে যায়। খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস- তাদের আয় বাড়েনি। বাড়তি খরচ করবেন কীভাবে? আবার যৌক্তিকভাবে যতটুকু বাড়ার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়ে। রীতিমতো এ এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। দাম বাড়ার পেছনে যেসব কারণ বলা হয়, তার অধিকাংশই সঠিক নয়। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন কাঁচামালের দাম কমে যায়, তখন এ দেশে এর প্রভাব পড়ে না। পণ্যের দাম কমে না কেন? পুরোনো মজুত করা পণ্য নতুন দামে বিক্রি করা হয়। অধিকাংশ সময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হয়। সেটা চাল থেকে শুরু করে সয়াবিন তেল, ডিম পর্যন্ত। সরকার ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা করলেও কালোবাজারি, সিন্ডিকেট, অসাধুদের সঙ্গে পেরে ওঠে কমই। তারা নিজেরা একটা চক্র তৈরি করে নিয়েছে। যে চক্রের কাজই হচ্ছে মানুষকে শোষণ করা। কোনো নিয়মনীতি একদম না মানা। সম্প্রতি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও বাজারে আগের দামেই তা বিক্রি হচ্ছে। অথচ চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে নতুন দামে তা বিক্রি হচ্ছে।
৬ অক্টোবর সমকালে 'টিসিবির পণ্য আটকের পর বিক্রি ইউএনওর' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ আয়ের ক্রেতারা দিশেহারা। এ অবস্থায়ও যারা খোলাবাজারের পণ্য নিয়ে কারসাজি করে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ইউএনও টিসিবির পণ্য জব্দ করে বিক্রির ব্যবস্থা করলেও ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা হতাশ। অসাধু ব্যবসায়ী আর সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ছে। ডিমের কথাই ধরা যাক। কারা অসাধু কাজ করে ডিমের দাম রাতারাতি বাড়াল; সংবাদমাধ্যম তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। পণ্যের বাজারে যারা নেতৃত্ব দেয়, যে কোম্পানি বা গ্রুপের পণ্য ভোক্তা বেশি ক্রয় করেন, তারা সবাই যদি অন্যায় বাণিজ্যে লিপ্ত হয়, তখন প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়ে। বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে ভুল করেছেন। মূলত ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই সব হচ্ছে। চালের বাজারে কারসাজির জন্য ১৯টি, আটা-ময়দার বাজারে কারসাজির জন্য ৮টি, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের জন্য ১২টি, সাবান ও গুঁড়া সাবানের জন্য ৫টি মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন কারসাজির জন্য ৪৯টি মামলা করেছে, যেগুলো এখনও অনিষ্পন্ন। দুঃখজনক বিষয়, এসব মামলার অধিকাংশ আসামি দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। শুধু মামলা নয়; প্রত্যাশা করি, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
বনানী, ঢাকা
৬ অক্টোবর সমকালে 'টিসিবির পণ্য আটকের পর বিক্রি ইউএনওর' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ আয়ের ক্রেতারা দিশেহারা। এ অবস্থায়ও যারা খোলাবাজারের পণ্য নিয়ে কারসাজি করে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ইউএনও টিসিবির পণ্য জব্দ করে বিক্রির ব্যবস্থা করলেও ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা হতাশ। অসাধু ব্যবসায়ী আর সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ছে। ডিমের কথাই ধরা যাক। কারা অসাধু কাজ করে ডিমের দাম রাতারাতি বাড়াল; সংবাদমাধ্যম তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। পণ্যের বাজারে যারা নেতৃত্ব দেয়, যে কোম্পানি বা গ্রুপের পণ্য ভোক্তা বেশি ক্রয় করেন, তারা সবাই যদি অন্যায় বাণিজ্যে লিপ্ত হয়, তখন প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়ে। বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে ভুল করেছেন। মূলত ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই সব হচ্ছে। চালের বাজারে কারসাজির জন্য ১৯টি, আটা-ময়দার বাজারে কারসাজির জন্য ৮টি, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের জন্য ১২টি, সাবান ও গুঁড়া সাবানের জন্য ৫টি মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন কারসাজির জন্য ৪৯টি মামলা করেছে, যেগুলো এখনও অনিষ্পন্ন। দুঃখজনক বিষয়, এসব মামলার অধিকাংশ আসামি দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। শুধু মামলা নয়; প্রত্যাশা করি, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
বনানী, ঢাকা
- বিষয় :
- মুহাম্মদ শফিকুর রহমান