মফস্বলেও বিতর্ক প্রতিযোগিতা হোক

মুনতাসির আজিজ
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৯:১৯
করোনার দুর্দশার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় নোয়াখালী জিলা স্কুলের বিতার্কিকদের সময় কাটত ইউটিউবে বিতর্ক দেখে। সেখান থেকেই তারা শিখে নেয়- কীভাবে তথ্য উপস্থাপন করতে হয়; যুক্তি খণ্ডন করতে হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সিনিয়র ভাইদের সহযোগিতা। তিন ছাত্র একই ক্লাসের হওয়ায় এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় টিমওয়ার্ক ছিল ভালো। তারা জেলা পর্যায়ে সেরা হয়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা হলো- পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো না হলে বিপক্ষ দলের সঙ্গে ভালোভাবে যুক্তি দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
বিতর্কের বিষয় আগেই নির্ধারণ ছিল ঠিকই, কিন্তু পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণ হতো টসের মাধ্যমে বিতর্কের আগমুহূর্তে। তাই পক্ষ-বিপক্ষ উভয় দিকের জোরালো যুক্তিগুলো খণ্ডনের জন্য মাথা খাটাতে গিয়ে বারবার সিনিয়র, অভিভাবক, শিক্ষক এবং গুগলের সাহায্য নিতে হয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে জয় পেতে তেমন ঘাম ঝরাতে হয়নি। বিতর্কের শুরুতে বোঝা যেত বিপক্ষ দল দৃশ্যমান কতটুকু দক্ষতার অধিকারী।
জাতীয় পর্যায়ে সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে পরাজিত করায় অন্য দলগুলোর কাছে মফস্বলের বিতার্কিকদের গুরুত্ব বেড়ে যায়। চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আগের দিন বিতর্কের ভেন্যু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পাশের হোটেলে উঠতে হয়েছে। আয়োজকদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না। দলনেতা ও সেরা বক্তা ফাইজুস সালেহীন বলেন, বিএফএফ এবং সমকালের মতো অন্যান্য শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান যদি এ ধরনের বিতর্ক আয়োজনে এগিয়ে আসে, তাহলে মফস্বলের খুদে বিতার্কিকদের মেধা বিকাশে সহায়ক হবে। এসব সেরা বিতার্কিকের মধ্যে ভবিষ্যতে হয়তো কাউকে দেখা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিতে; কাউকে হাসপাতাল বা হাসপাতালের বাইরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা দিতে। তবে এসব ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হবে কিনা, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর চর্চা নিশ্চিত করা দরকার। শুধু শহরকেন্দ্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না রেখে মফস্বলেও ছড়িয়ে দিতে হবে।
নোয়াখালী
- বিষয় :
- বিতর্ক প্রতিযোগিতা
- মুনতাসির আজিজ