ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সেশনজটে দিশেহারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সেশনজটে দিশেহারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

তৌফিক সুলতান

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩ | ১৮:০০

সেশনজট সমস্যার নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। কভিড ১৯-এর সময় সেশনজট সমস্যার সমাধানে এইচএসসি পর্যন্ত অটোপাস দেওয়া হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শিক্ষার্থীদের এই সময়টা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অনীহা ও হতাশায় পূর্ণ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।

২০১৭-১৮ অনার্স সেশনের পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়েছে কিছুদিন আগে। বর্তমানে ২০১৯-২০ সেশনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কথাই যদি বলি, ডিগ্রি যেখানে তিন বছরের কোর্স; সেই কোর্স শেষ করতে প্রায় পাঁচ বছর শেষ হতে চলেছে। অথচ এখনও দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা হচ্ছে না। মার্চে ফরম ফিলআপ করে এপ্রিলে রুটিন প্রকাশ করে সেটি আবার পরীক্ষার ১২ দিন আগে স্থগিত করে দেওয়া হয়। এর পর তিন থেকে চারবার নতুন করে ফরম ফিলআপের তারিখ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় এখনও নতুন করে রুটিন প্রকাশের কোনো তথ্য পায়নি শিক্ষার্থীরা; যেখানে ২০১৯-২০ সেশনের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে ফল পেয়ে পুরোদমে ক্লাস করতে পারছে। যদিও সেভাবে ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে না পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে। তবুও সান্ত্বনা। কিন্তু সেখানে ডিগ্রি এতটাই অবহেলিত যে, শিক্ষার্থীরা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

শিক্ষার ক্ষেত্রে যদি সবাই সমান হয়, তবে ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের প্রতি এই অবিচার কেন? তাদের সঙ্গে যদি অবিচারই করা হবে, তবে ডিগ্রি নামে কোর্স কেন চালু করা হয়েছিল? ডিগ্রি কোর্স বাতিল করে দিলেই পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া অনার্স পড়ুয়াদের যেমন ৮০ মার্কের পরীক্ষা, ডিগ্রি পড়ুয়াদেরও ৮০ মার্কের পরীক্ষা। অথচ অনার্সের পরীক্ষার সময় ৪ ঘণ্টা, আর ডিগ্রি ক্ষেত্রে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এই যে বৈষম্য; এর নিরসন করা জরুরি।

শিক্ষার্থীদের দাবি, সঠিক সময়ে পরীক্ষা হোক। ৮০ মার্কের পরীক্ষার জন্য ৪ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ দেওয়া হোক। পাশাপাশি বন্ধ করা হোক সেশনজট।

শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়


আরও পড়ুন

×