ইবিতে শাটল ট্রেনের বিষয়টি ভাবুন

খালিদ সাইফুল্লাহ তাহমিদ
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অবস্থান কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার এবং ঝিনাইদহ শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। শতভাগ আবাসন ব্যবস্থার নিশ্চয়তা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ৪৪ বছর পর শুধু ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মেস এবং কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থী পরিবহনের ৫৩টি বাসের মধ্যে ৩৭টি চলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মালিক সমিতির সঙ্গে চুক্তিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যদিবসে প্রতিদিন তিনবার আসা-যাওয়া করে বাসগুলো। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্যও রয়েছে আলাদা বাস। ফলে পরিবহন বাবদ নিয়মিত গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। বেশির ভাগ বাস ভাড়ায় চালিত হওয়ায় পরিবহন ধর্মঘট দেখা দিলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। এ ছাড়া বাইরের যাত্রী পরিবহন করা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেই চালক ও সহযোগীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। শিক্ষার্থীদের শিকার হতে হয় দুর্ব্যবহারের।
এ অবস্থায় শাটল ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বাজেটের অনেক খরচ বেঁচে যাবে এবং শিক্ষার্থীরাও নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে পারবেন। এক সময় বরিশাল বিভাগে রেল যোগাযোগ ছিল না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরিশালে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। নৌ ও রেল যোগাযোগ সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক হওয়ায় এ খাতের প্রতি সরকারের সুনজর রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন রয়েছে। এতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি তাদের ঐতিহ্য। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও শাটল ট্রেন চালু করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
- বিষয় :
- ইবি
- খালিদ সাইফুল্লাহ তাহমিদ
- শাটল ট্রেন