ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সাক্ষাৎকার: এ এইচ মোফাজ্জল করিম

প্রশাসনে বাংলা ভাষা প্রচলনে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে

প্রশাসনে বাংলা ভাষা প্রচলনে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে

দেবব্রত চক্রবর্তী বিষুষ্ণ

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১৫:২৬

এ এইচ মোফাজ্জল করিম সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব এবং যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসর জীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হলেও দীর্ঘদিন আগেই আবার বিযুক্ত হয়ে যান রাজনীতি থেকে। সাহিত্যিক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার বেরকুঁড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন দেবব্রত চক্রবর্তী বিষুষ্ণ

সমকাল: অনেকেরই অভিমত, বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন মাতৃভাষা হিসেবে শুধু বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই ছিল না। এ ছিল গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনও। সমাজের বিনির্মাণও ছিল তার লক্ষ্য। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?

মোফাজ্জল করিম: আমি তখন স্কুলের ছাত্র। ছাত্রাবস্থায় বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু এখন পরিণত বয়সে যখন পেছন ফিরে তাকাই; পুরো অধ্যায়টি আমার কাছে যেভাবে ধরা দেয় তা হলো, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত আমরা খুব আশান্বিত ছিলাম। ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের নিজস্ব দেশ পাওয়ার ফলে আমরা অর্থাৎ বাঙালি জাতি ভেবেছিলাম, বোধ হয় একটা পৃথক সত্তা হিসেবে জেগে উঠতে পারব। কিন্তু দেখা গেল, দেশভাগের পর থেকেই আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে পাকিস্তান নামক দেশটির অধিবাসী হয়ে গেলাম। আমার উপলব্ধি, ওখান থেকেই আমাদের ক্ষোভ-বেদনা-বঞ্চনার ইতিহাস শুরু নতুন করে। ১৯৪৮ সালে যখন রাষ্ট্রভাষার দাবি উঠল, তখন এ উপলব্ধি আরও গভীরভাবে জাগতে শুরু করল। রাতারাতি যে আমরা এই উপলব্ধি ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলাম, তা কিন্তু নয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরুর পর ঘটনা নতুন মোড় নিতে থাকল। অর্থনৈতিক-সামাজিকসহ প্রায় সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত বাঙালি ক্রমান্বয়ে জাতিসত্তার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকল। ১৯৪৮ সালে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা শুধু ভাষাকেন্দ্রিকই ছিল। পরে তা গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ও সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকার-প্রত্যয়ে ধাবিত হলো।

সমকাল: রাষ্ট্রভাষা বাংলার সর্বস্তরে প্রচলনের দাবি নানা মহল তো বটেই, সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বহুবার এ অঙ্গীকার উচ্চারিত হয়েছে। কার্যত তা এখনও উপেক্ষিত। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

মোফাজ্জল করিম: এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত দুঃখজনক। স্বাধীন বাংলাদেশ ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। বাংলা ভাষার জন্য লড়াই হয়েছে এরও কয়েক দশক আগে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করার দাবি, আদেশ, নির্দেশ স্বাধীন দেশে আমরা কম দেখিনি কিংবা শুনিনি। তারপরও বাংলা ভাষার প্রচলন সর্বস্তরে করা যায়নি- এটা পরিতাপের বিষয় বৈকি! স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই একটা জাগরণ ঘটেছিল সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের ব্যাপারে। এর বাইরে ছিল না প্রশাসনও। আমার মনে আছে, তখন চাকরিতে আমি নবীন কর্মকর্তা। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিল। আশা জাগল, এবার বাংলা ভাষা প্রশাসনসহ সর্বস্তরে চালু হবে। কিন্তু আজও যে এর অগ্রগতি হয়নি; এর ব্যাখ্যা কী হতে পারে? আমি মনে করি, এর প্রধান কারণ, আমরা যারা ব্যবহারকারী তাদের মানসিক দৈন্য আছে। বাংলায় লিখলে, বললে, পড়াশোনা করলে এখনও অনেকে মনে করেন, আমরা তো সাধারণের সঙ্গে মিশে গেলাম। ইংরেজিতে এসব না করতে পারলে অসাধারণ হতে পারলাম না। এই মানসিক দৈন্যের বিরূপ প্রভাব বিদ্যমান বাস্তবতায় নিহিত।

সমকাল: আমরা জানি, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন না মানলে অসদাচরণের অভিযোগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও আজও এমন কোনো দৃষ্টান্ত দেখা যায়নি। এরই বা ব্যাখ্যা কী হতে পারে?

মোফাজ্জল করিম: আমাদের অনেক কিছুই ফাইলপত্রে বন্দি। প্রায়োগিক অনেক ক্ষেত্রেই চিত্র বিবর্ণ। এই বিষয়টিও এর ব্যতিক্রম নয়। আইন কিংবা নীতিমালা করে কী লাভ যদি এর সুষ্ঠু প্রয়োগ কিংবা যথাযথ বাস্তবায়ন করা না যায়? আমারও প্রশ্ন- রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের পরও অনেক ক্ষেত্রেই এর বাস্তবায়নে কিংবা প্রয়োগে যে ঘাটতি কিংবা অসংগতি লক্ষ্য করা যায় এমন প্রেক্ষাপটে কাঙ্ক্ষিত দেশ-সমাজ গড়ার আশা করা কতটা যুক্তিযুক্ত? যে কোনো সরকারি নির্দেশ অমান্যের প্রতিকারহীনতায় আশার ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতি উদ্ভবের ব্যাপকতাই সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতির নিরসন ঘটানো উচিত দেশ-জাতির সামগ্রিক স্বার্থ ও প্রয়োজনেই। যারা নীতিমালা বাস্তবায়ন বা আইনের প্রয়োগ করবেন, তাদের আন্তরিকতার ক্ষেত্রে ঘাটতি দূর করার বিকল্প নেই। তবুও একটা কথা বলতে হবে, নানা স্তরে কিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে যে চেতনাবোধ দেখা যায় এবং বাংলা ভাষার প্রতি তাদের যে দরদ এর ফলে এ পর্যন্ত বাংলা ভাষার প্রচলন তা তাদের জন্যই হয়েছে।

সমকাল: ভাষা আন্দোলনের এতকাল পরও আমাদের ভাষানীতি বাস্তবায়নের পরিধি ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে বাংলা ভাষার সর্বস্তরে প্রচলন নিয়ে যত কথা হয়েছে কাজ হয়নি সে অনুপাতে। আপনি একজন সাবেক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

মোফাজ্জল করিম: প্রথমেই বলতে হয় প্রশাসনে বাংলা ভাষা প্রচলনে যে সদিচ্ছা থাকা দরকার তা নেই। মাঝে মাঝে সরকারি দু-একটা প্রজ্ঞাপন কিংবা চিঠিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়ার মধ্যেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকে। সরকারি অফিসে কিংবা আদালতে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলনের খুব একটা ফলপ্রসূ প্রচেষ্টা দেখা যায়নি, যাচ্ছে না। উচ্চ আদালতে দু-একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তের সন্ধান মিললেও সিংহভাগ ক্ষেত্রেই প্রাধান্য ইংরেজির। আমি মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সদিচ্ছার যথাযথ প্রতিফলন না ঘটবে ততক্ষণ এমন হতেই থাকবে এবং এর আরও অবনতির আশঙ্কাই প্রকট হবে। এক কথায় এজন্য সর্বাগ্রে দরকার দৃঢ় পদেক্ষপ।

সমকাল: প্রশাসনের নথিপত্র, প্রজ্ঞাপন, বিজ্ঞাপন- এসব ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র পরিসরে বাংলার ব্যবহার হলেও ভুল বাক্য গঠন ও শব্দ চয়নের অভিযোগও কম নেই। আপনার মন্তব্য কী?

মোফাজ্জল করিম: অবশ্যই এটি গুরুতর বিষয়। অপরাধও বটে। বাংলা ভাষার প্রচলনের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় রয়েছে। আগে তো ভাষা ভালো করে জানতে হবে, বুঝতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষাক্ষেত্রের সব পর্যায়ে বাংলাকে গুরুত্ব সহকারে চর্চার মধ্যে নেওয়া ও রাখা। এই প্রয়াস চলমান রাখা জরুরি। দুঃখজনক হলো, পঠিতব্য অন্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে শিক্ষাক্ষেত্রে যেটুকু প্রচেষ্টা চালানো হয় বাংলার ক্ষেত্রেও তা-ই লক্ষ্য করা যায়। আলাদাভাবে মর্মে নিয়ে বাংলার জন্য সেভাবে প্রচেষ্টা দৃশ্যমান নয়। এমতাবস্থায় সুফল আমরা পাব কী করে? শিক্ষাব্যবস্থায় কিংবা কার্যক্রমে গবেষণাধর্মী কিছু সংযুক্তির যেমন দরকার, তেমনি প্রশাসনের দায়িত্বশীলদেরও ভাষা ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। শুদ্ধতার পাঠ না নিলে শুদ্ধ প্রয়োগের আশা করার অবকাশ থাকে কী করে?

সমকাল: সংবিধানে বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও প্রসারে দিকনির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আবশ্যিক ভাষা হিসেবে সর্বস্তরে বিশেষ করে প্রশাসনে বাংলা ভাষা প্রচলনের ব্যর্থতার দায় কি সরকার এড়াতে পারে?

মোফাজ্জল করিম: সংবিধানের একাধিক স্থানে বাংলা ভাষার ব্যবহারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি স্পষ্টই সাক্ষ্য দেয়, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের উদাসীনতায় সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন সম্ভব হয়নি। প্রশাসনও এর বাইরে নয়। ভাষা ব্যবহারের মৌলিক জায়গা থেকে অনেকেরই দূরে সরে যাওয়া মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।

সমকাল: আমরা দেখছি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলার মূল্যায়ন কম হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষা হচ্ছে ইংরেজি মাধ্যমে। প্রশ্ন হচ্ছে- এও কি বায়ান্নর চেতনার বিপরীত নয়?

মোফাজ্জল করিম: অফিস-আদালতে নিয়োগ পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক কাজকর্মে আমি বলব আন্তরিকতা নয়, দৃঢ়তার সঙ্গে যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল তা যে নেওয়া হচ্ছে না এটি এর একটি মাত্র দৃষ্টান্ত। নিয়োগদাতারা তো বটেই, চাকরিপ্রার্থীদেরও অনেকেই মনে করেন, আমি যেটুকু বাংলা জানি সেটুকুই যথেষ্ট। নিজ ভাষার প্রতি এই গুরুত্বহীনতা নিঃসন্দেহে খুব অশুভ প্রবণতা। বাংলার জন্য বিশেষভাবে কোনো বন্দোবস্ত রাখা হয়নি কিংবা করা হচ্ছে না। দুঃখজনক হলো, এর প্রয়োজনও মনে করা হয় না। অর্থাৎ গলদ রয়েছে সব ক্ষেত্রেই এবং এর বিরূপ প্রভাবও দৃশ্যমান হয়ে উঠছে নানা ক্ষেত্রে। বায়ান্নর চেতনার সড়ক ধরেই পরবর্তী সময়ে আমাদের এগিয়ে চলা- এই সত্য ভুলে যাওয়া অনুচিত।

সমকাল: আন্তর্জাতিক যোগাযোগে ইংরেজির প্রয়োজন। প্রশ্ন হচ্ছে- বাংলা ভাষার গুরুত্ব বজায় রেখে সেটি কীভাবে করা যায়?

মোফাজ্জল করিম: এটা কঠিন কিছুই নয়। আমি আমার চাকরি জীবনে স্বাধীনতার পরে সব সময়ই চেষ্টা করেছি বাংলার প্রতি মর্যাদা-গুরুত্ব বজায় রাখার। একটা দৃষ্টান্ত দিই। স্বাধীনতার একেবারে পর পরই আমি তখন কুমিল্লায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বরত। আমার কক্ষের দরজায় পরিচয় লেখা ছিল ইংরেজিতে। আমি তৎক্ষণাৎ কক্ষের প্লেটটা বদলিয়ে বাংলায় করলাম। প্লেটে লেখা ছিল, এডিসি জেনারেল। আমি লিখলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। কুমিল্লা স্বাধীন হয় ৮ ডিসেম্বর। আমি দাবি করতে পারি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এই শব্দগুলোর চয়ন আমারই ছিল, যা এখন সবখানে সরকারিভাবে লেখা আছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ বা জাতীয় পর্যায়ে সবকিছু শতভাগ না হলেও নব্বই ভাগ বাংলায় চালানো সম্ভব। কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে পরিভাষার অভাবের কারণে তা করা হয়তো যাবে না। বৈদেশিক যোগাযোগ বাধ্যতামূলকভাবেই করতে হবে ইংরেজিতে। তবে এই দুই ভাষার সহাবস্থান বা পৃথক যে ক্ষেত্র রয়েছে এর সমন্বয় করা যায় খুব সহজেই। আমি অবশ্যই মনে করি, আমাদের অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক-প্রশাসনিক কাজগুলো বাংলায় হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যারা সাধারণ মানুষ তাদের স্বার্থ ও প্রয়োজনে যেমন তা জরুরি তেমনি প্রয়োজন ভাষার মর্যাদার প্রশ্নেও।

সমকাল: বাংলা ভাষা সর্বস্তরে প্রচলনে এখন আমাদের জরুরি করণীয় কী?

মোফাজ্জল করিম: উদ্যোগটা নিতে হবে সমন্বিতভাবে। বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সরকার ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের এবং বাংলা একাডেমি সবার যূথবদ্ধ প্রচেষ্টায় বাংলা ভাষার সর্বস্তরে প্রচলন ও সমৃদ্ধকরণে জোরদার প্রয়াসের বিকল্প নেই। সময় অনেক বয়ে গেছে। এ সংক্রান্ত সরকারি প্রকল্পগুলোর গতি সঞ্চারেও শুধু কথার কথা নয়, কাজের কাজ হোক। কথা তো হয়েছে বিস্তর কিন্তু সেই তুলনায় কাজের চিত্র হতাশাজনক। এর দায়ভার কমবেশি আমাদের সবার। দায়িত্বশীল সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিষ্ঠ হলে দৈন্য ঘোচানো দুরূহ নয়। বিশ্বের অনেক দেশ আছে অন্তত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা মাতৃভাষার বিকল্প কিছু ভাবে না। আমাদের জন্য তা দৃষ্টান্ত হয়ে সামনে থাকুক।

সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মোফাজ্জল করিম: ধন্যবাদ। সমকালের জন্য শুভ কামনা।

আরও পড়ুন

×