ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সুন্দরবন দেখেননি, সেই রোশান বললেন সুন্দরবন আমাদের গর্ব

সুন্দরবন দেখেননি, সেই রোশান বললেন সুন্দরবন আমাদের গর্ব

চিত্রনায়ক জিয়াউর রোশান

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০২:০৪ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৩:৩৯

'আমরা বিসিএস পরীক্ষার জন্য বা আমাদের বোর্ড পরীক্ষার জন্য যে পড়াশুনা করি বা চেষ্টা করি সেটাও এতোটা নয়। যতটা পরিশ্রম 'অপারেশন সুন্দরবন' ছবির জন্য আমাদের পরিচালক দীপংকর দীপন করেছেন।' ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি প্রতিক্ষিত 'অপারেশন সুন্দরবন' ছবি নির্মাণে পরিচালকের এই চেষ্টা ও পরিশ্রমের কথা বলে ছবিটির সকল কলাকৌশলীর পরিশ্রমের একটা ধারণা এভাবেই জানিয়ে দিলেন চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান। এই ছবিতে তিনি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রিশান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। 

বাংলাদেশের প্রথম ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাকশন থ্রিলার ছবি 'অপারেশন সুন্দরবন'। যে ছবিতে প্রায় ১০০ জন অভিনয়শিল্পী অংশ নিয়েছেন । এর মধ্যে ৩০ জন র‌্যাব সদস্যও আছেন। প্রায় ১৩০০ জন মানুষ কাজ করেছেন সিনেমাটির জন্য। শুটিংয়ে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি বড় জাহাজ, সাতটি স্পিডবোট, ছয়টি লঞ্চ, দুটি হেলিকপ্টারসহ আরও অনেক কিছু।

ছবিটির মুক্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত রোশান জানান, ছবিটিতে সবাই নিজেদের মেধা ও দক্ষতার ও পরিশ্রমের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করেছেন।  

রোশান বলেন, 'ছবিটির শুটিংয়ের আগে আমার কখনো সুন্দরবন দেখা হয়নি। শুটিংয়ের পর মনে হয়েছে সুন্দরবন হচ্ছে আমাদের গর্ব। এর ভেতরে এতো সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যা সবাইকেই মুগ্ধ করবে। আমি মনে করি, যারা সুন্দরবনকে ভালোবাসেন বা যারা এখনও সুন্দরবন দেখেননি তাদের সবারই এই ছবিটা দেখা উচিত। 

ছবিটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছন ছবিটির পরিচালক দীপংকর দীপন। রোশানের ভাষ্য, ''ছবিটির ব্যয় হয়েছে দীর্ঘ চারটি বছর। প্রি-প্রডাকশনের জন্য একটি বছর, শুটিংয়ের জন্য দুটি বছর, মাঝখানে করোনার বাধা। এসব নিয়ে ডিরেক্টরকে যে কত জয়গায় দৌড়াতে হয়েছে। এটা মানুষ আসলে একটা সিনেমার জন্য এতো পরিশ্রম করতে পারে যা বিশ্বাস করতে পারতাম না। এই ছবির জন্য তিনি মাসের পর মাস  সুন্দরবনে অবস্থান করেছেন। এবং গবেষণা করে  তিনি দেখেছেন কিভাবে এই ছবির স্টোরিটাকে আরও বেটার করা যায়।'' 

নিজেদের পরিশ্রমের কথা বলতে গিয়ে রোশান বলেন, 'আমরা যারা এই ছবির অভিনেতা তারাও যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছি। একজন র্যাব অফিসার যেভাবে চলাফেরা করে যেভাবে পিস্তল চালান , তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ-তার সবই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে শিখতে হয়েছে। সেগুলোও বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো আমাদের জন্য। উদ্দেশ্য একটাই ছিলো ছবিটাকে বাস্তবধর্মী করে তোলা।' 

সন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার র‌্যাবের অভিযানকে কেন্দ্র করে এই ছবি নির্মিত হয়েছে বিষয়টি উল্লেখ করে রোশান বলেন, 'এতো পরিশ্রম করে যে ছবিটি আমরা করেছি সেই ছবিটি এখন পর্দায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটা আমাদের জন্য দারুণ আনন্দের সময়। আমার আহ্বান থাকবে আমরা ছবিটি পরিশ্রম করে করেছি এবং সবাই অনেক ভালো করেছি সবাই যেনো ছবিটি সিনেমা হলে এসে দেখেন। যারা আমাদের মত বয়সী তারা সবাই এই ছবিতে নিজেদের খুজে পাবেন।'

বিশাল ক্যানভাসে চলচ্চিত্রটির নির্মাণে প্রযোজনা করেছে র‌্যাব ফোর্সেস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ।  র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের অনুপ্রেরণায় লিগ্যাল মিডিয়ার তত্বাবধানে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। র‍্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন চলচ্চিত্রটি নির্মাণে সহায়তা প্রদান করেছেন বলে আগেই জানিয়েছেন নির্মাতা দীপন। জানা গেছে সিনেমাটির লভ্যাংশ  ভিকটিমদের সহায়তা, সাবেক জলদস্যুদের পুনর্বাসনসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে।

এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া, রোশান, তাসকিন রহমান, রওনক হাসান, শতাব্দী ওয়াদুদ, মনোজ প্রামানিক, সামিনা বাশার, দীপু ইমাম, এহসানুর রহমান সহ অনেকে।

আরও পড়ুন

×