সম্পর্কে তিক্ততা, আলাদা থাকছেন ভাস্বর-নবমিতা

ভাস্কর ও নবমিতা চট্টোপাধ্যায়
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:০১ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | ০৬:০৫
সাড়ে পাঁচ বছর সংসার করার পর আজ ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ও মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায় আলাদা থাকছেন।
নবমিতা চট্টোপাধ্যায় ছোট পর্দার আর ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বড় পর্দার জনপ্রিয় তারকা।
২০১৪ সালে ২১ জানুয়ারি নবমিতার সঙ্গে বিয়ে হয় ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের। এটি ছিল ভাস্বরের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর সুখেই দিন কাটছিল দুজনের সংসার। কিন্তু বছরখানেকের মধ্যেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। তবে এই দুই তারকার বন্ধুদের মতে, ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় সবকিছু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও, কিন্তু সে পথে এগোননি নবমিতা।
জানা গেছে, এ বছরের এপ্রিলে এই দুই তারকার দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছে। অবশেষে নবমিতা চট্টোপাধ্যায় স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান তার নিজের বাবার বাড়ি ভবানীপুরে। নবমিতাকে বাসায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। তাতে সায় দেয়নি নবমিতা। অবশেষে দুজনে ঠিক করেছেন, তারা আর একসঙ্গে থাকবেন না, আলাদা থাকবেন। তবে এখনই বিবাহবিচ্ছেদ নয়। গত জুনে আদালতে এই দম্পতি পৃথক থাকার জন্য যৌথভাবে আবেদন করেছেন। তখন থেকে তারা আলাদা থাকছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে নবমিতা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরা আলাদা থাকছি।' আর ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'পৃথকভাবে থাকার আবেদন আমরা আদালতে জমা দিয়েছি। আমাদের হাতে এক বছর সময় আছে। এখনো চূড়ান্তভাবে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করিনি।'
কেনো এই সিদ্ধান্ত এমন প্রশ্নের জবাবে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আসলে আমরা দুজন দুই মেরুর। আমি গুছিয়ে সংসার করতে চাই, কিন্তু ও বড্ড অগোছালো।'
নবমিতা চট্টোপাধ্যায় আর ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় এখন ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ সিরিয়ালে একসঙ্গে অভিনয় করছেন। সিরিয়ালটি প্রচারিত হচ্ছে স্টার জলসায়। শুটিং ইউনিটের সূত্র জানায়, শুটিংয়ে তারা আসছেন ঠিকই। কিন্তু আলাদা গাড়িতে।
এদিকে এবার লক্ষ্মীপূজায় নবমিতার বাবার বাড়ি যান ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে নবমিতা বলেছেন, ‘জামাই হিসেবে তাকে মা আমন্ত্রণ জানাননি। বন্ধু হিসেবে নিমন্ত্রণ করেছেন। কিন্তু বিসর্জনে মা তাকে আমন্ত্রণ জানাননি।’
দুজন আলাদা হওয়ার পর এরই মধ্যে তাদের কিছু মানসিক পরিবর্তনের কথা জানা গেছে। নবমিতা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এখন মনে হচ্ছে, আমাদের দুজনের মনে জমে থাকা সব রাগ, ক্ষোভ, অভিমান কোথায় উবে গেছে। তবুও বলছি, আমার আর ভাস্বরের সঙ্গে সংসার করা হবে না।’ আর ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘কিছু জটিলতা কেটে গেছে। এমনও হতে পারে, আমাদের মধ্যে আবার খুব ভালো বন্ডিং তৈরি হয়ে গেল। তখন হয়তো আবার আমরা সম্পর্কে ফিরে যেতে পারি।’