প্রকাশ:
২৩ আগস্ট ২০২৩ | ১৪:২০ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩ | ১৫:০৩
অপেশাদার আচরণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে শাস্তি দিয়েছে টেলিভিশন নাটকের একাধিক সংগঠন। তিন মাসের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করেছে ডিরেক্টরস গিল্ডস। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞার কার্যক্রম শুরু হয়ে পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে সংগঠনটির পক্ষে থেকে জানানো হয়। তিনি ছাড়াও এর সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন নাটকের আরও কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। পরবর্তীতে এই শিল্পীদের নিষেধাজ্ঞা কাটলেও ক্যারিয়ারে আগের মত ওঠে দাঁড়াতে পারেননি। সেইসব নিষিদ্ধ হওয়া শিল্পীদের নিয়ে এই ফটো ফিচার।
আনিকা কবির শখ। ২০১১ সালের দিকে এনটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক ‘এফএনএফ’-এর শুটিং সময়ে শিডিউল নিয়ে জটিলতা তৈরির কারণে তাকে নিয়ে পরিচালক রেদওয়ান রনি কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর তিন বছর তাকে নিয়ে কোনো নাটকের কাজ করেননি রনি। একপর্যায়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখপ্রকাশ করায় দীর্ঘদিন পর শখকে ‘পরিবার করি কল্পনায়’ নাটকে কাস্ট করেন রনি।
শুটিং ইউনিটে কথা-কাটাকাটি, পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস, অভিযোগ দাখিল, গণমাধ্যমের সংবাদ-সবকিছুর কারণে ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ হন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের অক্টোবরে নাটকের তিন সংগঠন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন প্রসূন।
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় শিডিউল ফাঁসানোর মতো অভিযোগও আসে সারিকা সাবরিনের বিরুদ্ধে। তারই ফলস্বরূপ, ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিনকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে টিভি নাটকের সংগঠন ‘টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’।শখ, সারিকা ও প্রসূন আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রায় একই রকম হলেও অ্যালেন শুভ্রর নিষিদ্ধ হওয়ার অভিযোগটি ছিল একেবারে ভিন্ন। তার বিরুদ্ধে পরিচালক নিয়াজ মাহবুবের গায়ে হাত তোলার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরিচালকের সঙ্গে এ ধরনের অসদাচরণের অভিযোগে ২০১৮ সালে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল অ্যালেন শুভ্রকে। ২০১৮ সালে এপ্রিলে ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘ ও টেলিভিশন প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অসহযোগিতা ও অসদাচরণের অভিযোগে উঠতি মডেল-অভিনেত্রী জেবা জান্নাতকে ‘নিষিদ্ধ’ করে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। নিষিদ্ধের খবর প্রকাশ্যে আসার পর নাট্যনির্মাতা সাজ্জাদ দোদুলের বিরুদ্ধে ‘অনৈতিক’ প্রস্তাবের অভিযোগ তোলেন এই মডেল। অভিযোগ অস্বীকার করেন সাজ্জাদ দোদুল। গত বছরের মার্চের দিকে রাশেদা আক্তারের ‘টু লেট’ নামের একটি সিরিয়ালে কাজ করেন জেবা। অক্টোবরে ডিরেক্টরস গিল্ডে জেবার বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ করেন রাশেদা আক্তার। তার অভিযোগ, জেবার অসহযোগিতার কারণে নাটকটি শেষ করতে পারেননি তিনি, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।