ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মা নেই, ঈদের দিনের সব রান্না-বান্না তাই আমিই করি: দীঘি

মা নেই, ঈদের দিনের সব রান্না-বান্না তাই আমিই করি: দীঘি

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছবি: ফেসবুক

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:১২ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:১২

ঈদ মানেই আনন্দ আর রং ছড়ানো দিন। তরুণদের কাছে এসে ঈদ আরও বর্ণিল হয়ে ওঠে। এই ঈদকে ঘিরে নিজের পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রী দীঘি। চলুন জেনে আসে তার বয়ানে...  


আগামীকাল ৮ এপ্রিল মাহমুদুর রহমান হিমি পরিচালিত একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের মাধ্যমে শেষ করবো ঈদের আগের কাজ। ঈদের পর ১৮ তারিখ কালচারাল শো করতে যাব লেবানন। এর মাঝের সময়টা চুটিয়েই কাটাব! ঈদের দিন থাকব ইন্দিরা রোডের বাসাতেই। একটা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ঈদ স্পেশাল সেলিব্রিটি অনুষ্ঠানে থাকব ঈদের দিন। তবে ঈদের দিন সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যাঁর কথা ভেবে, তিনি আমার মা ইফতে আরা ডালিয়া দোয়েল।

২০১১ সালে মায়ের মৃত্যুর পর মা-বাবা বলতে এখন বাবা সুব্রত বড়ুয়া আমার সব। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর বাবাকেই মায়ের ভূমিকায় পেয়েছি। বাবা কেবল আমার জন্যই জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই বাবার প্রতি বাড়তি আবেগ আর অসীম শ্রদ্ধা কাজ করে। অন্য বাবারাও তাদের সন্তানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। তবে আমার বাবা আমার জন্য একটু বেশিই ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং এখনও করছেন। মা যখন অসুস্থ, হাসপাতালের বিছানায় মাকে সামলেছেন, আবার আমাকেও সামলেছেন। সে যাক, পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে আমার শৈশব ও কৈশোরের বর্ণিল ঈদগুলো। এখনও ঈদ আসে। তবে আগে যেমন পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে পারতাম, এখন তেমনটা পারি না। রাজ্যের ব্যস্ততা এখন ঈদ ঘিরে। তাতে কী, ঈদ এলে ঠিকই আনন্দে মেতে উঠি। ঘটা করে চলে ঈদের কেনাকাটা। চলে ঈদের দিনের রাজ্যের পরিকল্পনা।

ছোটবেলার ঈদের দিনের পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে পড়লে এখন হাসিই পায়। তবু অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে মনে। কত সহজ-সরল আর ভাবনাহীন ছিল শৈশবের ঈদ। সকালে গোসল সেরে বড়দের সালাম দিয়ে শৈশবের ঈদ শুরু হতো। সালাম দিয়ে সালামির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম! সালামি নিয়ে সে কত কত স্মৃতি, কত কী কিনতাম! তখন একমাত্র সালামির টাকাগুলোকেই নিজের টাকা মনে হতো। এ ছাড়া তেমন টাকাই হাতে পেতাম না নিজের মতো করে। তাই তো সালামি হাতে পেলে বসতাম রাজ্যের পরিকল্পনায়। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হতো না।

শৈশবের ঈদের দিনে মায়ের হাতের রান্না খেতাম মজা করে। জগতের সব মায়ের মতো আমার মাও রান্না করতেন অনেক মজা করে। মা নেই। তাই  এখন ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। কেবল রান্নাবান্না নয়, ঘর গোছানো থেকে শুরু করে ঈদের দিনের সব কাজ একাই সামলাই বলা যায়! ইন্দিরা রোডের বাসায় বন্ধুরা আসে। তাদের নিয়ে আড্ডা দিই। খাওয়া-দাওয়া করি। 


অনুলিখন- রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ 

আরও পড়ুন

×