ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

‘মাকে ছাড়া আমার অনেক ক্লান্ত লাগে’

‘মাকে ছাড়া আমার অনেক ক্লান্ত লাগে’

মা দোয়েল ও দীঘি।

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪ | ১৮:৫৫ | আপডেট: ১২ মে ২০২৪ | ১৮:৫৮

প্রায় ১৩ বছর হয়ে গেলো, মাকে হারিয়েছি। ভাবতে অবাক লাগে, ১৩ বছর কেটে গেল মাকে ছাড়া। একেকটা বছর যায় আর মনে হয় একটু করে বেশি অনুভব করি মাকে। চোখ বুজে যখন ভাবি মা থাকলে জীবনটা কেমন হতো। তারপর আর এক ফোঁটা নিশ্বাস নিতেও ইচ্ছা করে না। মায়ের সঙ্গে যে আমার কত কথা, কত গল্প, কতকিছু বাকি...।

অনেক কথা জমে আছে। মায়ের পরামর্শ, মায়ের নির্দেশনা, মায়ের কত কী আমার জানতে ইচ্ছা করে। আমি অনেক ভালোবাসি মাকে। অনেক মজার স্মৃতি জমে আছে মাকে বলতে চাই, অনেক নালিশ জমে আছে মায়ের কাছে নালিশ দিতে চাই। খুব ক্লান্ত লাগে আমার মাকে ছাড়া। মাকে জড়িয়ে ধরে রাখতে পারতাম আমি! যেইখানে আছো ভালো থাকো মা।  তোমার মেয়ে তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। 

ছোটবেলায় দেখতাম যে কারও জন্মদিনের অনুষ্ঠান মায়ের খুব ভালো লাগতো। তাই কাছের কারও জন্মদিনে কিংবা মা দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলোয় তাঁকে আরও বেশি মনে পড়ে। আমরা প্রায়ই কাজ না থাকলে, শুটিং না থাকলে, পরিবার নিয়ে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হতাম। এই জিনিসটা আমার মায়ের খুব প্রিয় ছিল। বিশেষ দিনে এই দিনগুলো খুব মনে পড়ে। আজকে আমি যা হয়েছি, যেখানে আছি, অবশ্যই এই অবদান মায়ের। তাঁকে প্রতিনিয়ত মিস করি। সে সঙ্গে থাকলে আরও ভালো কিছু হতো, ভালো কিছু আসতো। আজকে মানুষ দীঘি নামটা চেনে দীঘির মায়ের জন্য। ছোট দীঘি থেকে বড় দীঘি পর্যন্ত সব কিছু। 

মাঝের দীর্ঘ আট বছর ক্যামেরার বাইরে থাকার পরও মানুষ দীঘিকে মনে রেখেছে, পুরোটাই মায়ের অবদান। তিনি দীঘিকে বানিয়ে রেখেছেন বলে দীঘি এখনও চলতে পারছে। এতটুকু আমি চোখ বুজে বলতে পারি। আমার ক্যারিয়ার যত ওপরে যাবে, সবটাই আমার মায়ের অবদান সব সময়। তবে মাকে হারনোর পর বাবাই আমাকে মায়ের মতো করে যত্ন নিয়েছেন। বাবা সুব্রত বড়ুয়াই আমাকে আগলে রাখছেন। 

আরও পড়ুন

×