সারাজীবন মন দিয়ে গান করার চেষ্টা করেছি: আব্দুল হাদী

সৈয়দ আব্দুল হাদী
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪ | ২১:১৩
আমাদের আধুনিক বাংলা গানের ভোর হয়েছে যে ক’জনের হাত ধরে, তাদের মধ্যে অন্যতম সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। নন্দিত কণ্ঠশিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শুদ্ধমঞ্চ’। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রথমে মঞ্চে গান গাওয়ার আগ্রহ না থাকার কথা জানালেও যখন ‘এ মণিহার আমার নাহি সাজে’ গানটি শুরু করেন, মিলনায়তনজুড়ে দর্শক তখন করতালিতে শুভেচ্ছা জানান এ শিল্পীকে। অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুদ্ধমঞ্চের শিল্পীরা। হাদীর জনপ্রিয় সব গান গেয়ে শোনান তারা। পরে গান আর গল্প-আড্ডায় নানা কথা বলেন ষাটের দশকের এই শিল্পী।
হাদী বলেন, ‘সারাজীবন মন দিয়ে যা করার চেষ্টা করেছি, তা হলো গান। আজীবন গান গাওয়ার চেষ্টা করেছি। যতদূর সম্ভব শুদ্ধ আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটিই আমার অর্জন।’
ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে গান শুনিয়ে শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এই শিল্পী বলেন, জীবনে অনেক কিছুতেই ফাঁকি দিয়েছি, চাকরিতে বা পড়ালেখায় অনেক ফাঁকি দিয়েছি। কিন্তু একটা জায়গায় আমি কখনই ফাঁকি দেইনি, তা হলো গান।’
১৯৪০ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। শৈশব-যৌবন কাটিয়েছেন তাঁর দাদার আগরতলার বাড়িতে। সৈয়দ হাদী ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা নেন। অসাধারণ সংগীত পরিবেশনার জন্য তিনি বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মাননা পেয়েছেন।
২০০০ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। তাঁর একক গানের অ্যালবামগুলো হচ্ছে– ‘একবার যদি কেউ’, ‘পৃথিবীর পান্থশালায়’, ‘একদিন চলে যাব’, ‘কথা বলব না’, ‘মেঘের পালকি’, ‘যখন ভাঙল মিলনমেলা’, ‘নিয়তি আমার’, ‘হাজার তারার প্রদীপ’ ইত্যাদি।
- বিষয় :
- সৈয়দ আব্দুল হাদী