ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

অপূর্ব-মেহজাবীনদের পর নতুন প্রেমের জুটি

অপূর্ব-মেহজাবীনদের পর নতুন প্রেমের জুটি

ইয়াশ ও তটিনী।

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ১৩:১৬ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ১৩:৩০

অপূর্ব-মেহজাবীন, নিশো-তিশাদের পর একঝাক তরুণ টিভি নাটকে নিয়মিতই অভিনয় করছেন। তাদের মধ্যে জুটি গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকজনের মধ্যে। বিশেষ করে এই সময়ে প্রেমের গল্পে ইয়াশ-তটিনীর অভিনয় বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে বলেই দর্শক বারবার তাদের জুটি হিসেবে দেখতে চান। তাই দর্শকের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন এই জুটি।  নতুন এই জুটিকে নিয়ে লিখেছেন-রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ

‘প্রেম করছেন ইয়াশ ও তটিনী’– এ কথাটা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়। কান পাতলে এই গুঞ্জনও ভেসে আসে, বিয়ে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন এই তারকা জুটি। কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন? অনুরাগীদের মুখেও বহুবার উঠে এসেছে এই প্রশ্ন। ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ার তটিনী যে শুধুই পর্দার জুটি, বাস্তবের নন– এ কথাটাও অনেকে মানতে চান না। কয়েকটি প্রেমের গল্পই আসলে দর্শকের নানা প্রশ্ন আর নানা কৌতূহলের মুখোমুখি করেছে এই তারকা জুটিকে।

যদিও গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বিভিন্ন সময় তারকাদের বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়। এদিক থেকে ইয়াশ-তটিনী একটু ব্যতিক্রম। বিরক্তি নয়; বরং বিষয়টাকে সাফল্যের অংশ হিসেবেই ধরে নিয়েছেন তারা।

ইয়াশের কথায়, দর্শক তখনই অভিনীত চরিত্র নিয়ে আবেগী হয়ে উঠেন, কল্পনার জাল বুনে যান, যখন তাদের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। আমি আর তটিনী যখন জুটি বেঁধে অভিনয় শুরু করি, তখন শুধু এটাই চাওয়া ছিল, গল্প ও চরিত্র যেন দর্শকের কাছে অবান্তর মনে না হয়। কিন্তু পর্দায় আমাদের প্রেমের রসায়ণ যে দর্শক মনে এতটা ছাপ ফেলবে, আর তার সূত্র ধরে প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়বে এতটা ভাবিনি। তাই যখন কেউ আমাদের প্রেম বা বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করেন, তা হেসে উড়িয়ে দেই। কারণ, আমাদের প্রেমটা শুধুই পর্দার জন্য। তবে এটাও সত্যি যে, ভালো লাগা কাজ করে এটা ভেবে যে, রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় দিয়ে দর্শক মনে বিশ্বাসের এক ভিত গড়ে দিয়েছি। আর সে কারণেই তটিনী ও আমাকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনায় মেতে উঠেন অনুরাগীরা। ইয়াশের এ কথা একমত পোষণ করেছেন তটিনী নিজেও।

তাঁর কথায়, শুরুতে নির্মাতারা জুটি গড়ে দেন। কিন্তু যখন কোনো জুটি দর্শকের মনে আলাদাভাবে জায়গা করে নেন, তখন সেই অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে থাকে প্রযোজক-পরিচালকরা। আমাদের বেলায় সেটাই হয়েছে। তা ছাড়া আমরা যারা তারকা বা শিল্পী, তাদের সমস্ত কাজের শক্তি, সাহস ও প্রেরণা দর্শকের কাছ থেকেই আসে। তাদের জন্যই আসলে অভিনয় জীবন বেছে নেওয়া। এজন্য ভক্ত-অনুরাগীদের প্রত্যাশা পূরণেই ইয়াশের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করা।
ইয়াশ ও তটিনী কথায়, কেন তারা জুটি বেঁধে একের পর এক প্রেমের গল্পে অভিনয় করে যাচ্ছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অভিনয় কী এতটাই শক্তিশালী যে, পর্দায় যখন চরিত্র তুলে ধরছেন তা দর্শকের কাছে বাস্তব বলে মনে হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কয়েকজন নির্মাতার দ্বারস্থ হয়েছিলাম আমরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে যা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, তা হলো– দর্শক প্রথম যে বিষয়টি নজরে রাখেন, তা হলো প্রেমের গল্পে কোন অভিনেতার বিপরীতে কোন অভিনেত্রীকে ভালো লাগছে কিংবা মানানসই মনে হচ্ছে।

ইয়াশ ও তটিনী দু’জনেই একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ করেছেন। কিন্তু নাটকপ্রেমীদের কাছে বেশি সাড়া পেয়েছেন নির্দিষ্ট কোনো তারকাকে কেন্দ্র করে। শুরু থেকে এখনও দর্শক ইয়াশের বিপরীতে তটিনীকে বেশি দেখতে চান। একইভাবে তটিনীর সহশিল্পী হিসেবে ইয়াশকে দেখার আগ্রহ দেখা যায় দর্শকের মাঝে। ‘প্রণয়’ ও ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ নাটকে যখন ইয়াশ ও তটিনী একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন, তখনও নির্মাতাদের কেউ অনুমান করতে পারেনি, এই জুটি এতটা সফল হবে। মূলত দর্শক প্রত্যাশাই তাদের বারবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে টেনে এসেছে।

রোমান্টিক গল্পে তারা অদ্বিতীয় এমন মন্তব্যই উঠে এসেছে অনুরাগীদের মুখে। যে কারণে প্রথম দুই নাটকের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে ‘নির্বাসিত’, ‘অতীতপুর’, ‘চিহ্ন’, ‘মিসম্যাচ’, ‘আমার থাকিস তুই’, ‘তোমায় হলো পাওয়া’, ‘কথা ছিল’, ‘তোমাকে পেয়ে গেলে’, ‘অবশেষে’, ‘সে বসে একা’ অগ্নিগিরি’, ‘অবাক কাণ্ড’, ‘দত্তক’, ‘রাইড শেয়ারিং’, সম্ভবত প্রেম’, ‘যে প্রেম এসেছিল’, ‘আই প্লাস ইউ’, ‘কত যে আপন’, ‘গোলাপ গ্রাম’, ‘শেষ কিছুদিন’ ‘প্রেম এসেছিল একবার’, ‘ভালোবাসায় আদরে’ থেকে শুরু করে ‘তাহার নামটি মায়া’ পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক নাটকে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে; যা প্রমাণ করে, জুটি হিসেবে ইয়াশ ও তটিনী যেভাবে দর্শকের মনোযোগ কেড়েছেন, তা সহজেই ম্লান হওয়ার নয়। তাই অভিনয়ের সূত্র ধরেই প্রতিনিয়ত তাদের নিয়ে প্রেম, বিয়ের নতুন গুজব, গুঞ্জন ছাড়াবে এটাই স্বাভাবিক।

ইয়াশ রোহানের কথায়, দর্শক ভালোবাসেন বলেই আমাদের নিয়ে নানারকম কল্পনায় মেতে ওঠেন। আশা করেন, তাদের সেই কল্পনা যেন সত্যি হয়। এটা চাওয়া দোষের নয়। তাই আমরাও চেষ্টা করে যাব অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাদের কল্পনার বুননকে আরও রঙিন করে তোলার। ইয়াশের মতো তটিনীরও একই রকম চাওয়া। তাই দর্শক কাঙ্ক্ষিত জুটি গড়েই পাড়ি দিবে দীর্ঘ পথ।  

সময়ই জুটি গড়ে দিয়েছে: পথিক সাধন

নির্দিষ্ট কোনো জুটিকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করব– এই ভাবনা নিয়ে কখনও ক্যামেরার পেছনে দাঁড়ায়নি। স্ক্রিপ্ট তৈরি করার পরই আসলে সিদ্ধান্ত নিই কোন চরিত্রে কাকে নেব। ‘প্রণয়’ নাটকের বেলায় সেটিই করেছি। গল্প অনুযায়ী ইয়াশ রোহান ও তানজিক সাইয়ারা তটিনীকে নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু অনুমান করতে পারিনি এই জুটি এতটা দর্শক আলোচনায় আসবে। সময়ই জুটি গড়ে দিয়েছে। তাই এ সময়ে দর্শক মুখে চলছে শুধু ইয়াশ-তটিনী জুটির জয়গান। 

প্রত্যাশাটা দর্শকের: ইমরাউল রাফাত

যদি প্রশ্ন করেন কেন, ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী একের পর এক জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন? তাহলে উত্তর একটাই প্রত্যাশাটা দর্শকের, তারা চাইছেন বলেই স্বল্প সময়েই অসংখ্য নাটকে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। ‘শেষ কিছুদিন’ নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে নেওয়ার পর মনে হয়েছিল, এই গল্পের জন্য ইয়াশ-তটিনী হতে পারে সেরা জুটি। সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়নি। প্রেম ও বিরহের এ গল্পে অভিয়ন করে অনেকে মনে আঁচড় কেটেছিলেন তারা

আরও পড়ুন

×